সরকারের টেকসই ব্যবস্থাপনার ফলে দুর্যোগে কেউ না খেয়ে কষ্ট পায়নি : ত্রাণমন্ত্রী

385

ঢাকা, ১০ মার্চ, ২০১৮ (বাসস) : দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, সরকারের টেকসই ব্যবস্থাপনার ফলে ২০১৭ সালে ঘটে যাওয়া ৫টি বড় দুর্যোগে কেউ না খেয়ে কষ্ট পায়নি।
আজ শনিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস ২০১৮ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ‘জানবে বিশ^ জানবে দেশ, দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ।’
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রত্যেকটি দুর্যোগে পরিকল্পিতভাবে আগাম বার্তা প্রদান, উদ্ধার অভিযান, ত্রাণ বিতরণ ও পুনর্বাসন কাজ করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এজাজুল বারী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ রিয়াজ আহম্মদ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহম্মদ খান, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব ফিরোজ সালাউদ্দিন, সাইক্লোন প্রিপেয়ার্ডনেস প্রোগ্রাম (সিপিপি) এর পরিচালক আহমেদুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দুর্যোগ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ত্রাণমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সরকার বন্যা আসার পূর্বেই প্রস্তুতি সভা, আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, বরাদ্দ প্রদান ও আগাম বার্তা দিয়ে থাকে। বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন ৫দিন পূর্বেই আগাম বার্তা প্রদানের সক্ষমতা অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বেই গভীর সমুদ্রের মানুষদের সতর্ক করার জন্য এসএমএস পাঠানো হচ্ছে, তাদের উদ্ধারের জন্য উপযোগী জাহাজ ক্রয় করা হয়েছে।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, গত বছরে হাওর এলাকায় সংগঠিত পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩ লক্ষ ৮০ হাজার কৃষক ও জেলেকে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ২২৮ কোটি টাকা ও ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
মায়া চৌধুরী বলেন, তীব্র শৈত্যপ্রবাহে গরীব মানুষদের রক্ষার জন্য ৩০ লক্ষ কম্বল ও ৯৮ হাজার প্যাকেট খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে। সরকারের পাশাপাশি, দলীয় নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকগণ দুর্যোগকালে ব্যাপক সাড়া প্রদান করায় দুর্যোগ মোকাবিলা সহজ হয়েছে।
শহর ও উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবকের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, উপকূলীয় এলাকার জন্য ৫৫ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও শহর এলাকার জন্য ৩২ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে মন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিষয়বস্তুর ওপর আয়োজিত চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন।