বাজিস-১ : শরীয়তপুরে ২৫০ শয্যার নতুন হাসপাতালের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে

298

বাজিস-১
শরীয়তপুর-হাসপাতাল নির্মাণ
শরীয়তপুরে ২৫০ শয্যার নতুন হাসপাতালের নির্মাণ কাজ এগিয়ে চলছে
॥ এসএম মজিবুর রহমান ॥
শরীয়তপুর, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জেলার সর্বস্তরের জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে জেলা সদরে ২৫০ শয্যার নতুন হাসপাতালের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন খাতের অর্থায়নে ৩৭.৩৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ১২ হাজার ৪০ বর্গফুটের এ নতুন ৮তলা হাসপাতাল ভবনটি নির্মিত হচ্ছে। নতুন এ হাসপাতাল থেকে জেলার প্রায় ১২ লাখ মানুষ আধুনিক স্বাস্থ্যসেবা পাবেন। নতুন এ হাসপাতাল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ায় জেলার বিশেষ করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছে। লিফটসহ নানা আধুনিক সুবিধাদি সম্বলিত সকল চিকিৎসা সুবিধাই থাকবে নতুন এ হাসপাতাল ভবনে। বর্তমানে ১শ’ শয্যার হাসপাতালেই চলছে জেলার চিকিৎসা সেবা।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ফোরকান আহম্মেদ খান কন্সট্রাকশন্স লিঃ সূত্র জানায়, কার্যাদেশ পাওয়ার পরই ২০১৮ সালের নভেম্বর থেকে পূর্ণ উদ্যমে কাজ এগিয়ে চলছে। প্রাথমিক পর্যায়ে মাটি ভরাটসহ পাইলিংয়ের কাজসহ ভবন নির্মাণের আনুসাঙ্গিক কাজও এগিয়ে চলছে। নির্দিষ্ট (দুই বছর) সময়ের মধ্যে ভবন প্রস্তুত করার জন্য শতাধিক শ্রমিক দিনরাত অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসান লাভলু জানান, ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে ওয়ার্ক অর্ডার পেয়েই আমরা পূর্ণ উদ্যমে কাজ শুরু করেছি। ইতিমধ্যে ভরাট, লোড টেস্ট, পাইলিংয়ের কাজ প্রায় সম্পন্ন করেছি। আশা করছি আগামী দু-এক মাসের মধ্যেই ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করতে পারব। প্রাকৃতিক কোন বিপর্যয় না ঘটলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা ভবন হস্তান্তর করতে পারব।
শরীয়তপুর সদর উপজেলার ডোমসার গ্রামের মো. রতন জানান, আমরা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল থেকে জেলা সদরে একটু উন্নত চিৎিসা নিতে আসি। কিন্তু বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালটি ১শ’ শয্যার হওয়ায় আমাদের চাহিদা অনুযায়ী সেবা দিতে পারেনা এখান থেকে। নেই প্রয়োজনীয় সংখ্যক চিকিৎসক ও নার্স। তাছাড়া অনেক আধুনিক পরীক্ষা নিরীক্ষার ব্যবস্থাও এখন পাওয়া যায় না এখানে। তাই ২৫০ শয্যার হাসপাতালটি নির্মিত হলে এখানে আধুনিক পরীক্ষ নিরীক্ষার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। তখন আমরা এখান থেকে সকল ধরনের আধুনিক চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারব। তাছাড়া এখন আমাদেরকে অনেক সময় ঢাকা, ফরিদপুর, বরিশাল সহ জেলার বাইরে যেতে হয়। এ নতুন হাসপাতাল ভবনটি হলে আমরা জেলার বাইরে যাওয়ার ভোগান্তি থেকে রক্ষা পাব।
শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. মো. খলিলুর রহমান বলেন, বর্তমানে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালটি ১শ’ শয্যার হওয়ায় আমরা চাহিদা অনুযায়ী তুলনায় রোগী ভর্তি রাখতে পারছি না। নতুন ৮ তলা ভবনটি নির্মিত হলে জেলার মানুষের কাংখিত চিকিৎসা সেবা প্রদান করা খুবই সহজ হবে। তখন এখানে সকল রোগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকবেন। তখ রোগীরাও সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারবেন এবং আমরাও সেবা দিয়ে তৃপ্ত হবো।
বাসস/সংবাদদাতা/রশিদ/১০৩৫/নূসী