বাসস দেশ-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : বঙ্গবন্ধু উপাধির পাঁচ দশক

171

বাসস দেশ-২ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
বঙ্গবন্ধু-উপাধি
বঙ্গবন্ধু উপাধির পাঁচ দশক
॥ মলয় কুমার দত্ত ও এ কে এম কামাল উদ্দিন ॥

বঙ্গবন্ধুকে ১৯৬৬ সালের ৮ মে গ্রেফতার করা হয় এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামী হিসেবে ১৯৬৮ সালে তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হলে মানুষ প্রতিবাদি হয়ে ওঠে যা ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে রূপ নেয়। এই গণঅভ্যুত্থান ছিল প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধের মহড়া।
তোফায়েল বলেন, ১৯৬৯ সালের ৪ জানুয়ারি ১০ জন ছাত্র নেতার সমন্বয়ে গঠিত হয় সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। এরা হলেন- ডাকসু’র ভিপি তোফায়েল আহমেদ নিজে এবং জিএস নাজিম কামরান চৌধুরী, ছাত্র লীগের সভাপতি আব্দুর রউফ, জিএস খালেদ মোহাম্মদ আলী, ছাত্র ইউনিয়ন (মতিয়া) সভাপতি সাইফুদ্দিন আহমেদ মানিক, জিএস শামসুদ্দোহা, ছাত্র ইউনিয়ন (মেনন) সভাপতি মুস্তফা জামাল হায়দার, জিএস মাহবুব উল্লাহ, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ইব্রাহীম খলিল ও জিএস নূরুল ইসলাম মুন্সি।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খানের স্বৈরশাসনকালে ১৭ জানুয়ারি পুলিশ ১৪৪ ধারা জারি করা সত্ত্বেও ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ওইদিনই একটি সভা আহ্বান করার মধ্য দিয়ে আন্দোলনের সূচনা হয়।
তিনি বলেন, ‘ওই আন্দোলন চলাকালে ২০ জানুয়ারি আসাদ নিহত হয়, ২৪ জানুয়ারি শহীদ হয় মতিউর, মকবুল, রুস্তম ও আলমগীর।’
তোফায়েল বলেন, তারা ১৯৬৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি পল্টনে জনসভা করার শপথ গ্রহণ করেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এই বলে শপথ নেই যে- আমরা বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করব এবং আমরা আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশকে মুক্ত করব।’
১৫ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিচারাধীন আসামী কারাবন্দী সার্জেন্ট জহুরুল হক ঢাকা সেনানিবাসে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত অবস্থায় মারা যান এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক সামসুজ্জোহা নিহত হন।
১৯৬৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সংগ্রাম পরিষদ তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের প্রতি শেখ মুজিবুর রহমানকে নিঃশর্তভাবে মুক্তিদানের জন্য ২৪ ঘন্টার সময়সীমা বেধে দেয় এবং ২২ ফেব্রুয়ারি তাকে মুক্তি দেয়া হয়।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘১৯৬৯ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের (তৎকালীন রেসকোর্স ময়দান) বিশাল জনসভায় প্রায় ১০ লাখ লোক একযোগে হাত তোলে সমর্থন জানিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানকে বঙ্গবন্ধু উপাধীতে ভূষিত করেন।
বাসস/অনু-জেহক/আহো/১৮০০/আরজি