টাঙ্গাইলের সখীপুরে ইটভাটায় অবাধে পুড়ছে কাঠ

209

টাঙ্গাইল, ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জেলার ইটভাটাগুলোতে পাহাড়ি গাছগাছালি কেটে এবং সামাজিক বনায়নের কাঠ পুড়িয়ে ইট তৈরি হচ্ছে । ফসলি জমি ধবংস করে পরিবেশকে বিপর্যয়ের মুখে ফেলে এসব ইট ভাটায় জ্বালানো হচ্ছে কাঠ। উজাড় হচ্ছে পাহাড়ী বনাঞ্চলের মূল্যবান গাছ। পরিবেশ অধিদপ্তরের জারি করা আইনকে
অমান্য করছেন ইটভাটার মালিকরা। সেই সাথে পাহাড় কেটে ইটভাটার জায়গা বড় করছেন মালিকপক্ষ। পাহাড়-ফসলী জমি কাটার উপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা সেটা মানছেন না ।
জানা যায়, পরিবেশ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় ৮টি ইটভাটা রয়েছে। এরমধ্যে চারটি ইটভাটার কাগজপত্র ঠিক থাকলেও বাকি চারটির কাগজপত্র বৈধ নয়। কিন্তু এ সব ইটভাটাগুলো পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেইইট তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। ফসলী জমি ও ঘন জনবসতি এলাকায় গড়ে তুলেছে ইটভাটাগুলো। এলাকাবাসী এ নিয়ে কোন প্রতিবাদ করলেই তাদের হুমকি দেয়া হয় বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসীরা বলেন, আমরা গরীব মানুষ আমাগো সমস্যার তো কারো চোখে পড়ে না। এই ইটভাটার কারণে আমাদের অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমাদের বাড়ি ঘরে ইটভাটার ধূলাবালু, কালো ধোয়ায় বাড়ি ঘর নষ্ট হয়ে যায়। আমরা এর প্রতিবাদ করতে পারি না। প্রতিবাদ করলে আমাদের হুমকি দেয়। প্রশাসনের লোকজনও তো আসে না। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, এ এলাকায় যেন কোন ইটভাটা না থাকে।
এলাকাবাসী হাসমত, আলম, জাহাঙ্গীর, আরিফসহ আরো অনেকেই বলেন, এরা প্রথমে বনের কিছু জমি দিয়ে ইটের ভাটার কাজ শুরু করলেও পরে জোর করে অনেকের জায়গা দখল ও ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বল্প মূল্যে জমি কিনে নিয়েছে। সেই সাথে বনের গাছ দিয়ে ইটভাটায় ইট পোড়ানোর কাজ করছে। এরা অনেক প্রভাবশালী। এদের বিরুদ্ধে কেউ কোন প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
টাঙ্গাইল পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক সজীব কুমার ঘোষ বলেন, আমাদের কাছেও এসব ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু অবৈধ ইটভাটার মালিকরা আদালতে রিট ফাইল করে ভাটার কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আর এ সুয়োগ কাজে লাগিয়ে তারা পরিবেশ অধিদপ্তরের নিয়ম-নীতি না মেনে বনভূমি উজাড় করে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর কাজ করছে। আমরা এ বিষয়ে জেলা প্রশাসককে অবগত করবো এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।