বাজিস-১৫ : খাগড়াছড়িতে মাঘী পূর্ণিমা উদযাপন

344

বাজিস-১৫
খাগড়াছড়ি-উদযাপন
খাগড়াছড়িতে মাঘী পূর্ণিমা উদযাপন
খাগড়াছড়ি, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ (বাসস) : জেলায় মাঘী পূর্নিমা উদযাপন করেছে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা।
দিনটি উপলক্ষে মঙ্গলবার সারাদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খাগড়াছড়ি সদরের আপার পেরাছড়া ধর্ম রক্ষিত বৌদ্ধ বিহারে,পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধ পূজা,সংঘদান অষ্ট পরিস্কার দান ভিক্ষুদের পিন্ড দান ও বুদ্ধ মুর্তি দান, ধর্মীয় দেশনা শ্রবন ও বুদ্ধ মেলাসহ নানা আনুষ্ঠানিকতা পালন করে বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা। এছাড়া সন্ধ্যায় প্রদীপ পূজা ও আকাশ প্রদীপ উত্তোলন করবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আপার পেরাছড়া নিংগ্রাদং বৌদ্ধ বিহারের বিহারধ্যক্ষ ও ধর্মরক্ষিত বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্ঠাতা ক্যাসালা মহাথেরো ভিক্ষু ,পানছড়ি শান্তি পুর অরণ্য কুঠিরের বিহারধ্যাক্ষ ব্রক্ষ্মদত্ত মহাস্থবির ভিক্ষ,আমতলী বৌদ্ধ বিহারের ক্ষেমাসারা স্থবিরসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারের ধর্মীয় গুরুরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহালছড়ির চৌংড়াছড়ির গেীতম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ আভিঞানা মহাথেরো।
অনুষ্ঠানে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বলেন, মাঘী পূর্ণিমা বৌদ্ধ নর-নারীদের কাছে একটি খুবই গুরুত্ব পূর্ণ দিন। কারণ এই দিনে ভগবান গৌতম বুদ্ধ বৈশালীর চাপাল চৈত্র্যে মল্লদের শালবনে স্বশিষ্যদের বলেছিলেন, মাঘী পূর্ণিমা তিথিকে তিন মাস পরে বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে তিনি পরিনির্বান লাভ করবেন। ঠিক তিন মাস পর ভগবান গৌতম শুভ বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে মহাপরিনির্বান লাভ করেন। বৌদ্ধ ধর্মের লোকেরা এই পূর্ণিমাকে আয়ু সংস্কারের দিন হিসেবে ও উল্লেখ করে থাকেন। তখন থেকে বৌদ্ধ ধর্মের লোকেরা এই দিন অতি গুরুত্বের সাথে উদযাপন করে থাকেন এবং এই দিনটি বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে খুব গুরুত্ব পূর্ণ দিন। কথিত আছে বুদ্ধের এইরূপ সংকল্প গ্রহণের সাথে সাথে হঠাৎ ভূকম্পন শুরু হয়। ভিক্ষু সংঘ এর কারণ জানতে চাইলে বুদ্ধ বলেন তার পরিনিবর্েিনর সংকল্পের কারণে এরূপ হয়েছে। অর্থাৎ তথাগতের জন্ম, মৃত্যু ও বুদ্ধত্ব লাভ কালে জগত এমন ভাবে আলোড়িত হয়।
বুদ্ধের পরিনির্বানের কথা শুনে উপস্থিত ভিক্ষুরা বিষণœ ও শোকাভিভুত হলে বুদ্ধ বলেন, মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী, এজন্য দুঃখ করা অনুচিত। তোমরা সংকল্পবদ্ধ ও দৃঢ়চিত্ত হয়ে ধর্মচর্চা কর, তবে জন্ম-জ্বরা-ব্যাধি-মৃত্যু এই সংসার দুঃখকে উত্তীর্ণ হয়ে দুঃখকে জয় করতে পারবে।
তাই বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের কাছে এই দিনটির তাৎপর্য হলো আত্মশক্তির উন্নয়ন এবং সকল প্রকার রাগ-মোহ-হিংসা দূর করে নির্বাণ লাভের সার্মথ্য অর্জন করার জন্য প্রতিজ্ঞা করার দিন। বুদ্ধধর্ম মতে নির্বাণ পরম সুখ।
বাসস/সংবাদদাতা/২০০৭/মরপা