আগের মতো এবারও স্থানীয় নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক এবং অংশগ্রহণমূলক হবে : সিইসি

231

ঢাকা, ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান মো. নূরুল হুদা বলেছেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে যেমন প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে, এ বছরও তেমনিভাবে প্রতিযোগিতামূলক এবং অংশগ্রহণমূলকও হবে।
তিনি বলেন, ‘আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক হবে। এদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচন সারা জীবনব্যাপী যেরকম প্রতিযোগিতামূলক হয়েছে। এ বছরও কিন্তু তেমনিভাবে প্রতিযোগিতামূলক হবে। তেমনিভাবে অংশগ্রহণমূলক হবে। এদেশের মানুষ অন্যান্য মানুষের চেয়ে বেশি নির্বাচনমুখী, বেশি ভোটদানমুখী। সেই উৎসব তাদের মধ্যে রয়েছে। সে কারণে তারা গিয়ে ভোট দেন। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সতর্কতার সঙ্গে দেখতে হবে নির্বাচনকে ঘিরে যেনো প্রাণহানি না ঘটে। কারণ একটা জীবন একটা নির্বাচন দিয়ে প্রতিস্থাপন করা যায় না।’
আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ উপজেলা পরিষদের তৃতীয় ধাপে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে ভোটাররা সারিবদ্ধভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে, আনন্দঘন পরিবেশে, নির্বাচন কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেয়ার জন্য উপস্থিত থাকেন। এটা আমাদের দেশের একটা বৈশিষ্ট্য। সেই নির্বাচনের পরিচালনার দায়িত্ব আপনাদের হাতে। সেই দিক দিয়ে কিন্তু আপনাদের আদালাভাবে আনন্দ এবং গুরুত্ব বহন করার কথা। আপনাদের হাতে দায়িত্ব দিয়ে সে দায়িত্ব পালন করা হবে কি হবে না সেটা যদি সন্দেহ করি, তাহলে আর কোথায় যাবো আমরা? জাতি কোথায় যাবে?’
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবারই প্রথম রাজনৈতিক মনোনয়নে হবার কথা। এর আগে কখনো হয়নি। কিন্তু সেসব নির্বাচন কি প্রতিযোগিতামূলক হয়নি? কেউ কাউকে ছাড় দেয় না। প্রত্যেকেই সেখানে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান নেন এবং প্রত্যেক প্রার্থী, সমর্থক এবং ভোটাররা কিন্তু সে নির্বাচনকে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখে। আমি মনে করি। আপনারা সেটা করতে পারবেন এবং করবেন।
নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের মধ্যে সমন্বয়ের গুরুত্ব তুলে ধরে সিইসি বলেন, একটা জাতির দায়িত্ব পালন করার ক্ষেত্রে দরকার সবার ঐক্যবদ্ধ, সমন্বিত ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টা। সকলের প্রচেষ্টা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা একটা ভান্ডারে এসে যখন জমা হয়, সেটা হয় একটা বড় অর্জন। সেই অর্জনের ধারাবাহিকতা এখনো আছে এবং থাকবে। নির্বাচন কমিশনই কেবলমাত্র একত্রে সব ধরনের প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তাদের নির্বাচনের দায়িত্বপালন করে থাকে। আর অন্য কোনো দপ্তর এভাবে সকলের একত্রে কাজ করার সুযোগ নেই।