বাজিস-২ : মেহেরপুর সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব

157

বাজিস-২
মেহেরপুর-পিঠা উৎসব
মেহেরপুর সরকারি কলেজে পিঠা উৎসব
মেহেরপুর, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : শীতের পিঠা-পুলি বাঙালির আদি খাদ্য সংস্কৃতির অংশ। বাংলার চিরায়ত লোকজ খাদ্য সংস্কৃতিতে পিঠা-পায়েস একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। প্রতিবছরই শীতকালে গ্রামাঞ্চলে বাড়িতে বাড়িতে ধুম পড়ে যায় পিঠা বানানোর। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর বা সন্ধ্যায় গাঁয়ের বধূরা চুলোর পাশে বসে পিঠা তৈরিতে কাটান ব্যস্ত সময়। অতিথি বিশেষ করে জামাইদের দাওয়াত করে পিঠা খাওয়ানো হয়। গ্রামের পাশাপাশি শহরেও পাওয়া যায় শীতের পিঠার সুবাস। রাস্তায় রাস্তায় পিঠা বানিয়ে বিক্রি করেন বিক্রেতারা। বর্তমানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও এখন ঘটা করে পিঠা উৎসব হয়।
শতাধিক ধরনের পিঠার প্রচলন রয়েছে বাংলাদেশে। কালের গভীরে কিছু হারিয়েও গেছে। হারিয়ে যাওয়া বিভিন্ন রকমের পিঠা নিয়ে আজ সোমবার মেহেরপুর সরকারি কলেজ পিঠা উৎসবের আয়োজন করে। সরকারি কলেজের কদম তলায় এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্বাদের, পদের ও নকশাদার পিঠা তৈরি করে ১০ টি স্টল প্রদর্শন করে রেখেছে। পিঠা উৎসব অনুষ্ঠানে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিউল ইসলাম সরদার। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের উপাধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ও ফ্রেন্ডস ফাউন্ডেশন একাডেমির অধ্যক্ষ হাসানুজ্জামান মালেক।
এইচএসসি প্রথম বর্ষের ছাত্রী ইরানি আফরিন জানান- নিজেদের তৈরি পিঠা প্রদর্শণ করতে পেরে ভালো লাগছে। স্কুলজীবনে এমন সুযোগ হয়নি। এ অভিজ্ঞতা ভবিষ্যতের জন্য কাজে লাগবে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্রী সানজিদা ইসলাম, নাসিমা খাতুনসহ অনেকেই জানান, প্রতিবছর শীতের এই পিঠা উৎসবের জন্য অপেক্ষা করি।
বাসস/সংবাদদাতা/১৩১০/নূসী