বাসস সংসদ-৪ : এসডিজি অর্জনে সক্ষমতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ : স্পিকার

131

বাসস সংসদ-৪
স্পিকার-এসডিজি
এসডিজি অর্জনে সক্ষমতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ : স্পিকার
সংসদ ভবন, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিত করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সক্ষমতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তাঁর সাথে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার ইওয়াল্ড রেমেটসটেইনার আজ সংসদ ভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাতকালে তাঁরা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষি খাতের উন্নয়ন ও সংসদ সদস্যদের জন্য অবহিতকরণ কর্মশালা আয়োজন নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী কর্মপরিকল্পনা ও এ দেশের কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে বাংলাদেশ এখন খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। তিনি বলেন, খাদ্য, কৃষি ও মৎস্য খাতকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়ায় কৃষি অর্থনীতি শক্তিশালী হচ্ছে-ফলশ্রুতিতে তা দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখছে। মৎস্য উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ।
জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি তৃতীয়বারের মতো জাতীয় সংসদের স্পিকার নির্বাচিত হওয়ায় ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, কৃষি খাতে বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রশংসনীয়। খাদ্য ও কৃষি সংস্থা খাদ্য নিরাপত্তা ও অপুষ্টি দূরীকরণে কৃষি মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এছাড়্ওা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত কল্পে এর সাথে সঙ্গতিপূর্ণ অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও স্থায়ী কমিটির সাথে মতবিনিময়ের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চায় সংস্থাটি ।
জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থা সংসদ সদস্যদের সচেতনতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজনে আগ্রহী বলে তিনি স্পিকারকে অবহিত করেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনে সক্ষম হয়েছে। ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন জনিত বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করে ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনেও বাংলাদেশ সফল হবে।
স্পিকার বলেন, বর্তমান সরকার দারিদ্র্য ও অপুষ্টি দূরীকরণে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের মূলস্রোতে সকলকে অন্তর্ভূক্ত করতে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। আর এসব কর্মকান্ড তৃণমূল পর্যায়ে বাস্তবায়নে নজরদারী করেন সংসদ সদস্যবৃন্দ।
এ জন্য সংসদ সদস্যগণের জন্য এ প্রশিক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশ বিদেশের বিশেষজ্ঞদের কাছ থেকে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে প্রশিক্ষণ ভূমিকা রাখবে। অন্যান্য দেশের সংসদ সদস্যদের সমম্বয়ে প্রশিক্ষণ আয়োজনের মাধ্যমে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন ।
এসময় জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি. সিমসন, সহকারী প্রতিনিধি নূর আহমেদ খন্দকার, ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ফারাজি বিনতে ফেরদাউসসহ সংসদ সচিবালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/এমআর/১৮১৫/বেউ/-অমি