মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া ফেরী সার্ভিসের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

543

ঢাকা, ৩ জুন, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের সব নদ-নদীর নাব্যতা রক্ষার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন যে, নাব্যতা না থাকলে নদীমাতৃক বাংলাদেশে বিপর্যয় নেমে আসবে।
প্রধানমন্ত্রী আজ গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জ-গজারিয়া ফেরী সার্ভিস উদ্বোধনকালে একথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী ৪টি টিইইউ সেলফ-প্রোপেল্ড মাল্টিপারপাস ইনল্যান্ড কন্টেইনার শিপ এবং ৪টি ৮ ইঞ্চি কাটার সাকশন এম্ফিবিয়ান ড্রেজারের উদ্বোধন করেন। দক্ষিণ কোরিয়ার কারিগারী সহায়তায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী এগুলো তৈরি করে।
তিনি বলেন, নৌপথ হচ্ছে যাত্রী এবং বিশেষ করে কৃষি পণ্য পরিবহণে খুবই সাশ্রয়ী ও গুরুত্বপূর্ণ রুট। এজন্য তাঁর সরকার গোটা দেশকে নদী পথের মাধ্যমে সংযুক্ত করতে চায়। তিনি দীর্ঘদিন থেকে উত্তোলনকৃত বালুমহলগুলো সরিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন। কারণ এসব বালুমহাল ভাঙ্গনের সৃষ্টি করছে। তিনি বালুমহাল ও পরিকল্পিত বালু উত্তোলনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুন্সিগঞ্জ ও গজারিয়া ফেরী সার্ভিস চালুর মধ্য দিয়ে তাঁর সরকারের একটি অঙ্গীকার পূর্ণ হলো।
নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এ সময় নৌবাহিনী প্রধান এ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং নৌপরিবহণ সচিব মো. আবদুস সামাদ মন্ত্রণালয়টির অর্জন শীর্ষক উপস্থাপনা তুলে ধরেন। মুন্সিগঞ্জ থেকে জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এ সময় স্থানীয় সংসদ সদস্যবর্গ রাজনীতিক ও জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থানগত গুরুত্বের বিবেচনায় তাঁর সরকার মুন্সিগঞ্জের উন্নয়নে নজর দিয়েছে। এই জেলা দেশের দক্ষিণাঞ্চল ও রাজধানী ঢাকার মধ্যে যোগাযোগের কেন্দ্রে পরিণতি হয়েছে।
তিনি বিশেষ করে আলুসহ এই জেলায় উৎপন্ন বিভিন্ন কৃষি পণ্যের উল্লেখ করে বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের প্রবেশদ্বার হিসেবে পদ্মাসেতু এই জেলার গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর আর্থিক সংকট সত্ত্বেও দেশের নৌপথের গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নদী খননের উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ পরবর্তী শাসকরা এ বিষয়ে কোন গুরুত্ব দেয়নি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে বর্তমান অবস্থায় আনতে এবং উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হতে বিগত ৯ বছরে তাঁর সরকারকে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। তিনি বলেন, ২০০১ সালে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে না দিয়ে জাতির জীবন থেকে ৯টি বছর কেড়ে নেয়া হয়েছে।