বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি) : বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে এসেছিল অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে : প্রধানমন্ত্রী

192

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ (তৃতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-সংবর্ধনা-মিউনিখ
বিএনপি-ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচনে এসেছিল অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে : প্রধানমন্ত্রী

শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রবাসী বাংলাদেশীরা সব সময়ই দেশের সকল আন্দোলনে আমাদের সঙ্গে ছিলেন ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্টা এবং অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনের সংগ্রামে আমাদের সঙ্গে ছিল।’
তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকান্ডের বিরুদ্ধে প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতিবাদী ভূমিকার কথা স্মরণ করেন।
অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, যুক্তরাজ্য, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, গ্রীস, হাঙ্গেরি, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, নেদারল্যান্ডস,নরওয়ে, পর্তুগাল,রাশিয়া, স্পেন, সুইডেন, স্কটল্যান্ড, রোমানিয়া, বুলগেরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র সুইজারল্যন্ডের বিপুল সংখ্যক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে জার্মানীর মিউনিখে পৌঁছেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি বিদেশে বাংলাদেশের ইতিবাচক উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তুলে ধরায় নিবেদিতভাবে দায়িত্বপালন ও দেশের স্বার্থে ইতিবাচক ভাবধারা তুলে ধরায় কৃতজ্ঞতা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, গত সাধারণ নির্বাচনে সব শ্রেণি পেশার মানুষ আওয়ামী লীগকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়ায় আওয়ামী লীগের ভূমিধস বিজয় অর্জিত হয়।
শহর ও গ্রামের জনসাধারণ, ব্যাবসায়ী সম্প্রদায়, তরুণ ও নারীরা দেশকে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার প্রত্যাশা নিয়ে আওয়ামী লীগকে ভোট দেন।
গত নির্বাচনে ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে বিএনপি’র অংশগ্রহণ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার প্রধান হিসেবে তিনি ৭০ টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন দেশের সর্বোচ্চ সংখ্যক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নেয় ও শতকরা ৮০ ভাগেরও বেশি ভোটাররা এতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে যা ইতোপূর্বে কখনো দেখা যায়নি।
শেখ হাসিনা বলেন, লাগামহীন দুর্নীতির কারনে জনগণ বিএনপিকে ভোট দেয়নি। তারা বঙ্গবন্ধুর নৃশংস হত্যাকান্ডের পর অনেক বছর দেশ শাসন করে, কিন্তু তারা খুন, সামরিক অভ্যুত্থান, দুঃশাসন, দুর্নীতি, মানিলন্ডারিং ও স্বজনপ্রীতি ছাড়া জনগণকে আর কিছুই দিতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন ১৯৭৫ সাল পরবর্তি সামরিক শাসকগণ আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হত্যা, সামরিক বাহিনীর অভ্যুত্থান, দুঃশাসন, দুর্নীতি, মানি লন্ডারিং ও স্বজনপ্রীতি ছাড়া জনগণকে কিছুই দিতে পারেনি।
বিএনপি’র লাগামহীন দুর্নীতির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার নয়, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তাদের দুর্নীতি খুঁটিয়ে তোলে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির দায়ে মামলা দায়ের করে। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধিকাংশ কর্মকর্তারা বিএনপি’র অনুগত ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘ তাঁর কন্যা হিসেবে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তোলায় তার স্বপ্ন ও ভাবনা সম্পর্কে আমি অবগত আছি।’
প্রধানমন্ত্রী যে সব প্রবাসী বাংলাদেশী নির্বাচনকালে দেশে থেকে আওয়ামী লীগের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছিলেন তাদেরকে ধন্যবাদ জানান।
শেখ হাসিনা প্রবাসী নাগরিকদের বিশেষ অর্থনৈতিক জোনে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব জোনে প্রবাসীদের বিশেষ সুবিধা দেয়া হবে।
বাসস/একেএইচ/অনু-জেজেড/১৭০৫/-আসচৌ