মেলায় এসেছে ভাষা আন্দোলন নিয়ে নতুন ৯টি বই

372

ঢাকা, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ভাষা আন্দোলন নিয়ে বিভিন্ন স্টলে দু’শোরও বেশি বই বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে এবারে মেলায় নতুন এসেছে নয়টি বই।
মহান একুশে ফ্রেবুয়ারিকে ধারণ করে যে গ্রন্থমেলা, এতে ভাষা আন্দোলনের বই প্রকাশ নিয়ে গুরুত্বরোপ করে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ভাষা আন্দোলনের তৃণমূল পর্যায়ের ইতিহাস প্রকাশ হওয়া প্রয়োজন। উনিশ বায়ান্ন সালের অমর একুশের পর অনেকগুলো বছর চলে গেছে। আজও পর্যন্ত ভাষা আন্দোলনের জেলা পর্যায়ের ইতিহাস প্রকাশিত হয়নি। এটি খুবই পরিতাপের বিষয় বলে তারা উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে কথাসাহিত্যিক রশীদ হায়দার বাসসকে বলেন, ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে বাংলা একাডেমি বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশ করেছে। এরপর পরিকল্পিতভাবে ভাষা সংগ্রাম নিয়ে প্রকাশনা চোখে পড়ে না। ভাষা শহীদদের নিয়ে গ্রন্থমালাও বাংলা একাডেমি প্রকাশ করেছে। কিন্তু জেলা পর্যায়ের ইতিহাস তেমন প্রকাশ পায়নি।
এবারের গ্রন্থমেলায় বাংলা একাডেমির স্টলে ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহীদ গ্রন্থমালা বিষয়ে ৪২টি বই বিক্রি হচ্ছে। এর মধ্যে ভাষা শহীদ গ্রন্থ হচ্ছে ১৪টি। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও গবেষণা বিষয়ে বই রয়েছে ১৯টি । বেশ কয়েকটি রয়েছে একুশের প্রবন্ধ ও স্বারকগ্রন্থ।
বাংলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক ও লোকগবেষক ড. শামসুজ্জামান খান বাসসকে বলেন, বাংলা একাডেমি পরিকল্পিতভাবে ভাষা আন্দোলন ও ইতিহাসের ওপর প্রায় অর্ধশত বই প্রকাশ করেছে। এ ছাড়া আর কোন প্রকাশনা সংস্থা ভাষা আন্দোলন নিয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ করেনি। তবে মুক্তধারার চিত্তরঞ্জন সাহা জীবিতকালে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বই প্রকাশ করেছিল। এগুলো এখন পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, জেলা পর্যায়ে ভাষা সংগ্রামের ইতিহাস প্রকাশের জন্য এখনই পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।
মেলায় মুক্তধারা স্টলে গিয়ে ভাষা আন্দোলনের বইয়ের খোজঁ নিয়ে মাত্র তিনটি বই পাওয়া গেছে। স্টল থেকে বলা হয় ,সংস্থাটি গত ত্রিশ বছরে ভাষা আন্দোলনের ওপর ১১টি বই প্রকাশ করেছে। ভবিষ্যতে তারা বইগুলো পুন:মুদ্রণ করবে।
ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশের স্টলে ভাষা আন্দোলন বিষয়ক মোট ৯টি বই বিক্রি করা হচ্ছে। এর মধ্যে ড. হায়াৎ মামুদের ‘অমর একুশে ’ গ্রন্থটি কয়েকটি সংস্করণ হয়েছে। ড. হায়াৎ মামুদ বাসসকে জানান, ভাষা আন্দোলন নিয়ে এখন কি লেখার আছে, লেখা হতে পারে জেলা পর্যায়ের ইতিহাস। তাও লেখক পাওয়া কষ্টকর। ভাষা সৈনিকরা তো এখন বেঁচে নেই। যারা বেঁচে আছেন, তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে শিগগর কাজ না করলে, ভবিষ্যতে তাও সম্ভব হবে না।