পন্ডিত বারীণ মজুমদার সংগীত উৎসব শুরু ১৪ ফেব্রুয়ারি

313

ঢাকা, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : দু’দিনব্যাপী পন্ডিত বারীণ মজুমদার সংগীত উৎসব ২০১৯ আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় শুরু হবে। সরকারী সংগীত কলেজ আয়োজিত এই উৎসব শেষ হবে ১৫ ফেব্রুয়ারি।
রাজধানী ঢাকার আগারগাঁওয়ে সরকারী সংগীত কলেজ প্রাঙ্গনে ১৪ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে চারটায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি উৎসব উদ্বোধন করবেন । বিশেষ অতিথি থাকবেন মো: সাদেক খান এমপি, সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কামাল লোহানী, শিল্পী ও সংগীত পরিচালক পার্থ মজুমদার।
আজ দুপুরে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে সরকারী সংগীত কলেজের উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানানো হয়। এতে বক্তব্য রাখেন সরকারী সংগীত কলেজের অধ্যক্ষ কৃষ্টি হেফাজ, কলেজের শিক্ষক তিলোত্তমা সেন, কাজী মমতাজ হেনা, রুমানা হাসান প্রমুখ।
দু’দিনের উৎসবে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা পন্ডিত বারীণ মজুমদারের জীবন ও কর্মসহ সংগীত কলেজের কার্যক্রমসহ মোট ২৮টি অধিবেশন থাকবে। প্রথম দিন শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের মধ্যদিয়ে উৎসব শুরু হবে। থাকবে আলোচনা ও হাজার বছরের বাংলা গান। সংগীতানুষ্ঠানে অংশ নেবে সুরের ধারা, শাস্ত্রীয় সংগীত, শিল্পকলা একাডেমি, গান পাগল, প্রজ্ঞারশ্নিসহ তিনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত দল গান পরিবেশন করবে।
দ্বিতীয় দিনের উৎসবে সকালে ভোরের গান ও ‘লোক সংগীতে নারীর অবদান’ শীর্ষক সেমিনার। পরে রয়েছে সরকারী সংগীত কলেজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, দিনাজপুর সংগীত কলেজ, জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশনা। বিকেলে খ্যাতিমান শিল্পীদের মধ্যেকার খুরশীদ আলম, সুবীর নন্দী, ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, তপন মাহমুদ, রোকাইয়া ইসলাম, সালমা আকবর, ফেরদৌস আরা, জহির আলীম, আবুবকর সিদ্দিক গান পরিবেশন করবেন। পরে রয়েছে ছায়ানটসহ কয়েকটি সংগঠনের সংগীত পরিবেশন।
সংবাদ সম্মেলনে জানান হয়, ১৯৬৩ সালে উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীত সাধক বারীণ মজমুদার ‘ কলেজ অব মিউজিক ’নামে যে সংগীতের প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন, সেটাই হচ্ছে বর্তমানের সরকারী সংগীত কলেজ। ১৯৮৪ সালে কলেজটি সরকারীকরন করা হয়। পাকিস্তান আমল থেকে বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া বাড়িতে কলেজটি পরিচালনা করা হয়। সরকারী উদ্যোগে ১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে আগারগাঁওয়ে জমি বরাদ্দ দিলে সেখানে ভবন নির্মাণ শেষে কলেজটি এই ভবনে স্থায়ীভাবে পরিচালিত হচ্ছে। দেশে সরকারী পর্যায়ে একমাত্র সংগীত কলেজটির প্রতিষ্ঠাতার নামে প্রথম বারের মতো এই সংগীত উৎসবে প্রায় দেড় শতাধিক শিল্পী ও যন্ত্রশিল্পীরা অংশ নিচ্ছেন ।