ভোলায় ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে ডাল আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ

241

ভোলা, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জেলার ৭ উপজেলায় চলতি রবি মৌসুমে ৫৫ হাজার ৫৮৯ হেক্টর জমিতে ডাল জাতীয় শস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ। এর মধ্যে খেসারী ডাল ১৭ হাজার ৩২০ হেক্টর, মুগ ২৫ হাজার ৭৫০, ফেলন ১১ হাজার ৩৯৯ ও মসুর ডাল ১১’শ ২০হেক্টর জমি রয়েছে। ইতোমধ্যে গতকাল পর্যন্ত আবাদ সম্পন্ন হয়েছে ৪৮ হাজার ৩৮২ হেক্টর। আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত আবাদ কার্যক্রম চলবে। নির্ধারিত জমি থেকে মোট ডাল উৎপাদন টার্গেট নেওয়া হয়েছে ৭৩ হাজার ৪০০ মে:টন। ফলে সামনের দিনগুলোতে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ডালের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে এখানে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিনয় কৃষœ দেবনাথ আজ বাসস’কে বলেন, চলতি মৌসুমে জেলায় ডাল আবাদে সাড়ে ৫ হাজার কৃষককে উন্নত বীজ ও সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। মুগ ডালের জন্য ৩ হাজার কৃষক পেয়েছে ৫ কেজি উন্নত বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ১০ কেজি। দেড় হাজার খেসারীর কৃষক পেয়েছে ৮ কেজি করে বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ৫ কেজি এবং ফেলন ডালের সহায়তা পেয়েছে ১ হাজার কৃষক, প্রত্যেকে পেয়েছে ৭ কেজি বীজ, ডিএপি ১০ কেজি ও এমওপি ৫ কেজি।
তিনি আরো বলেন, এখানে মুগ ডালের মধ্যে বারি মুগ-৬ জাতের আবাদ বেশি হয়। মোটা এ ডালটার জাপানে বেশ কদর থাকায় ভোলা থেকে সরাসরি তারা কিনে নিয়ে যায়। এছাড়া ফেলন ডালের মধ্যে বারি ফেলন-১, ২, খেসারীর বারি ১, ২ ও মশুর ডালের স্থানীয় জাতের আবাদ বেশি হয়। তিনি বলেন, বর্তমানে ডালের ফসলের অবস্থা ভালো রয়েছে। ডালে সাধারনত রোগ-বালাই’র আক্রমণ তেমন হয়না। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে অবশ্যই ডালের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন কৃষি বিভাগের প্রধান এ কর্মকর্তা।
উপজেলা সদরের ধনীয়া ইউনিয়নের কোরার হাট এলাকার কৃষক আমজাদ হোসেন ও রফিক মাঝি বলেন, তারা ৫০ শতাংশ জমিতে মুগ ও খোসরীর আবাদ করেছেন। মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা নিয়মিত পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তারা। বাংলাবজারের কৃষক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, তিনি প্রতিবছরই স্থানীয় জাতের মশুর ডালের আবাদ করে থাকেন।