বাসস দেশ-২৪ : রাজধানীতে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ॥ দুজন গ্রেফতার

307

বাসস দেশ-২৪
হত্যা-গ্রেফতার
রাজধানীতে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ॥ দুজন গ্রেফতার
ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : রাজধানীর কদমতলী এলাকার ক্লুলেস রাসেল হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা মেট্রো। এসময় এই হত্যাকান্ডে জড়িত প্রধান আসামীসহ দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তারা হচ্ছে- প্রধান আসামী সজল ওরফে পিচ্চি সজল (২২) ও মো: হোসেন বাবু ওরফে হুন্ডা বাবু (২৫)।
পিবিআইসূত্রে জানাগেছে,শনিবার বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থানার আমতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে পিচ্চি সজলকে এবং ওইদিন সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্যামপুর থানাধীন হাজীগেট ব্যাংক কলোনী থেকে হুন্ডা বাবুকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় ব্যবহৃত ২টি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
পিবিআই জানায়, ২০১৫ সালের ১০ অক্টোবর রাতে কদমতলী থানাধীন বড়ইতলা মোড়ে কে বা কারা ছুরি দিয়ে রাসেল ও পারভেজ নামে দুই যুবককে রক্তাক্ত জখম করে। পরে আহতদের ডাক চিৎকার স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে এবং চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় রাসেল মারা যায়। কিন্তু কি কারনে এবং কারা রাসেলকে হত্যা করলো সে সর্ম্পকে কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে স্থানীয়ভাবে এলাকায় লোকমুখে প্রচার ছিল রাসেল ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে মারা যায়। ঘটনার পরদিন রাসেলের মা খবর পান যে, রাসেল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছুরিকাঘাতে আহত হয়ে মারা গেছে। তখন রাসেলের মা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে গিয়ে তার ছেলের লাশ সনাক্ত করেন। ওই ঘটনায় মা রাশিলা বেগম (৪০) বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে কদমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে পিবিআই জানতে পারে,হত্যাকান্ডের শিকার রাসেলের বাড়ী খুলনার রূপসা থানা এলাকায় এবং গ্রেফতারকৃত আসামী সজলও একই গ্রামে বিয়ে করে। সেই সুবাদে উভয়ের মধ্যে সু-সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সখ্যতার একপর্যায়ে সে রাসেলকে ঢাকায় টায়ারের ফ্যাক্টরীতে চাকুরী দেয়ার কথা বলে ঢাকায় নিয়ে আসে। ঢাকায় আসার পরে চাকুরী দেওয়ার কথা বলেও চাকুরী না দেয়ায় তাদের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। পূর্ব-পরিকল্পনা অনুযায়ী ইয়াবা সেবন শেষে আসামী সজল ও বাবু তাদের কোমড়ে থাকা চাকু দিয়ে এলোপাথারীভাবে পারভেজ ও রাসেলকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
বাসস/সবি/এমএমবি/২০৩০/কেএমকে