বাণিজ্য মেলায় ২শ’ কোটি টাকার রফতানি আদেশ

491

ঢাকা, ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : ২৪তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ২শ’ কোটি টাকার রফতানি আদেশ পাওয়া গেছে।
শনিবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপ মুনশি এ তথ্য জানান।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এবারের মাসব্যাপী মেলায় দর্শক এসেছে ৫০ লাখ। দেশি পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধিকে তিনি ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এখন দেশেই তৈরী বিশ^মানের পণ্য পাচ্ছে। ফলে দেশীয় পণ্যের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। তাই পণ্য আমদানি আসতে আসতে কমে আসছে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ ও রফতানি উন্নয়ন ব্যুারোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্ষ বক্তব্য রাখেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিকল্প নেই। কিন্তু আমাদের বর্তমান রফতানি বাণিজ্য তৈরি পোশাক শিল্পের উপর নির্ভরশীল। তাই ঔষধ, ফার্নিচার, চামড়া, আইসিটি, কৃষিপণ্য, জাহাজ নির্মাণের মত সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে কাজে লাগিয়ে পণ্য বহুমুখীকরণ করতে হবে।
তিনি মনে করেন আরো বড় পরিসরে স্থায়ী জায়গায় মেলা করা গেলে রফতানি আদেশ আরো বাড়বে।
টিপু মুন্শি বলেন,এসব বিষয় বিবেচনায় নিয়ে ঢাকার অদুরে পূর্বাচলে স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টার গড়ে তোলা হচ্ছে। সেখানে সারা বছর জুড়ে বিভিন্ন মেলা ও প্রদর্শনী আয়োজন করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এখন দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। পাকিস্তানের তুলনায় সকল ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে গেছি। কোন কোন ক্ষেত্রে ভারত থেকেও বাংলাদেশ এগিয়ে। অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তিনি দেশবাসীকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।
এবারের বাণিজ্য মেলা ৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে আজ শেষ হয়েছে।মেলায় দেশী-বিদেশী মিলে ৬০৫টি প্রতিষ্ঠান অংশ নেয়। এর মধ্যে ২২টি দেশের ৫২টি বিদেশী প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
মেলায় অংমগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৩ ক্যাটাগরিতে ৪২টি সেরা প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি প্রদান করা হয়। ৩৩টি সহযোগি প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট এবং সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে পুরষ্কৃত করা হয়। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি এবং সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ যৌথ ভাবে এসব ট্রফি ও ক্রেস্ট বিতরণ করেন।