রাষ্ট্রপতির ভাষণ বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের এক অনন্য দলিল : সরকারি দল

671

সংসদ ভবন, ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতির ভাষণের জন্য আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণ বাংলাদেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নের এক অনন্য দলিল।
তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত দশ বছরে দেশের সব ক্ষেত্রে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা নিয়ে বিভিন্ন দল ও মহলের নেতিবাচক বক্তব্য দিচ্ছে রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে উন্নয়ন-অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে তার সমুচিত জবাব দিয়েছেন।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর এ আলোচনা শুরু হয়েছে। ওই দিন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য আ স ম ফিরোজ তা সমর্থন করেন।
গত ৩০ জানুয়ারি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম ও বছরের প্রথম অধিবেশনের শুরুর দিন সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংসদে ভাষণ দেন।
রাষ্ট্রপতির ভাষণে আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আজ পঞ্চম দিনে মোহাম্মদ ফারুক খান, সরকারি দলের ইসরাফিল আলম, শফিকুল ইসলাম শিমুল ও মো. আক্তারুজ্জামান আলোচনায় অংশ নেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, রাষ্ট্রপতির ভাষণটি বিশ্লেষণ ধর্মী ও তথ্য বহুল। তিনি সরকারের বিগত ১০ বছরের উন্নয়ন এবং ভবিষ্যৎ পথ চলার বিষয়ে দিকনির্দেশনা রয়েছে।
তারা বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির পরাজয়ের অন্যতম কারণ হচ্ছে, নির্বাচনের জন্য যে প্রস্তুতি নেয়া প্রয়োজন বিএনপির সেই প্রস্তুতি ছিল না। তাদের নির্বাচন নিয়ে কোন হোমওয়ার্ক ছিল না। অলৌকিক বা বিদেশী বন্ধুদের আশায় ছিল, তারা ষড়যন্ত্র করে নির্বাচনী বৈতরণী পাড় হতে চেয়েছিল। এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, তাদের জন্মও হয়েছে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে।
সরকারি দলের সদস্যরা বলেন, পরাজয়ের আরেকটি কারণ হচ্ছে বিএনপির কর্মীরা তাদের নেতাদের উপর আস্থা হারিয়েছে। বিএনপি কখন নির্বাচনে যাবে আর কখন নির্বাচন থেকে সরে যায় তা কর্মীরাও জানে না।
তারা বলেন, বিএনপির মনোনয়ন বণিজ্যের কারণেও কর্মীরা দলের ওপর আস্থা হারিয়েছে। আর এ কারণে গত নির্বাচনে দলের সব পর্যায়ের নেতা কর্মীদের অধিকাংশই নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামেনি।
সরকারি দলের সদস্যরা গণতন্ত্রের স্বার্থে সংসদে এসে কথা বলার জন্য বিএনপির সংসদ সদস্যদের প্রতি আহবান জানান।