আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন নিয়ে রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন চায় বাংলাদেশ : শিরীন শারমিন চৌধুরী

359

ঢাকা, ২ জুন, ২০১৮ (বাসস) : স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক আলোচনা এবংআন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন নিয়ে রোহিঙ্গাদের সেচ্ছায়, নিরাপদ,শান্তিপূর্ণ ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন চায়।
তিনি শুক্রবার প্যারিসে ফ্রান্সের ন্যাশনাল এসেম্বলিতে ফ্রান্স-বাংলাদেশ মৈত্রী গ্রুপ আয়োজিত মিয়ানমার ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয় সম্মেলনে স্পিকার আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ মানবতার এক অনন্য নজির স্থাপন করেছে। সীমান্ত খুলে দিয়ে মানবতার এ নব দিগন্তের উন্মোচন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সম্মেলনে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক, আইনবিদ, সমালোচক ও সংসদ সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন। এ সময়ে আলোচকগণ রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় প্রদান করায় বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তারা রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশের পাশে থাকায় দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
স্পিকার বলেন, আইপিইউ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে এবং তাদের মানবাধিকার সংরক্ষনে প্রস্তাব গৃহীত হয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সিপিএ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসনে পদক্ষেপ নেয়ার ঘোষণা গৃহীত হয়।
তিনি বলেন, ফ্রান্স-বাংলাদেশ মৈত্রী গ্রুপ এ ধরনের সম্মেলনের আয়োজন করায় বিশ্বের অন্যান্য পার্লামেন্টেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুটি গুরুত্ব পাবে। এ জন্য তিনি ফ্রান্স-বাংলাদেশ মৈত্রী গ্রুপকে ধন্যবাদ জানান।
ড. শিরীন শারমিন বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির প্রতি সম্মান রেখে মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ বিষয়ে তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সজাগ দৃষ্টি ও অকুন্ঠ সমর্থন কামনা করেন।
ফ্রান্স-গাম্বিয়া মৈত্রী গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জাঁ- ফ্রাংকোয়ে বায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তৃতা করেন ফ্রান্স- বাংলাদেশ মৈত্রী গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ড্যানিয়েল অবনো , মানবাধিকার বিষয়ক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষক ড. মং জারনি, মানবাধিকার কর্মী রাজিয়া সুলতানা, তুন খিন, রোহিঙ্গা বিষয়ক আইনবিদ নুরুল ইসলাম, ন্যা সাঁ লুই , প্রফেসর সি আবরা ও প্রফেসর ইউসুফ বালসি।