মেঘনা নদীর তীর ও নাব্যতা রক্ষায় চাঁদপুর-হাইমচরে ৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ

763

চাঁদপুর, ৯ মার্চ, ২০১৮ (বাসস) : মেঘনা নদীর তীর ও নাব্যতা রক্ষায় চাঁদপুর-হাইমচরে ৪৯০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করে তা বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।
নদীভাঙ্গন প্রতিরোধে তীর সংরক্ষণ ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং কাজের জন্যে চলতি ২০১৭- ২০১৮ অর্থবছরে চাঁদপুর-হাইমচরে এ দুটো মেঘা প্রকল্প গ্রহণ করেছে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড ।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডে কমর্রত হাইমচরের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.জাহাঙ্গীর হোসেন এ তথ্য জানান ।
তিনি আরো জানান, চলতি ২০১৭- ২০১৮ অর্থবছরে চাঁদপুর সদরের হরিণা ফেরিঘাট ও চরভৈরবীর কাটাখাল বাজার রক্ষা নামের একটি প্রকল্প ও মেঘনা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষায় হাইমচরের নীলকমল, চাঁদপুর সদরের ইব্রাহীমপুর ইউনিয়ন পশ্চিম তীর রক্ষায় এ দু’টো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মেঘনা নদীর ভাঙন হতে ফেরিঘাট এলাকা ও চরভৈরবী থেকে কাটাখাল পর্যন্ত তীর রক্ষায় ৯২ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ দু’টি অঞ্চলে নদীর নাব্যতা রক্ষায় ড্রেজিং কাজের জন্যে আরো ৯৮ কোটি টাকা ৭৭ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
অপর প্রকল্পে মেঘনা নদীর ভাঙন রক্ষায় চাঁদপুর সদরের ইব্রাহীমপুর ইউনিয়নের ফতেজংপুর থেকে দক্ষিণে হাইমচরের ইশানবালার সীমানা পর্যন্ত তীর রক্ষায় ২৪০ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। এ দু’টি অঞ্চলের মধ্যে ফতেজংপুর হতে উত্তরে শরীয়তপুর ফেরীঘাট পর্যন্ত তীর সংরক্ষণ ও নদীর নাব্যতা রক্ষায় ৬০ কোটি টাকা প্রকল্প ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিষয়টি বাস্তবায়নে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও পরিকল্পনা কমিশনে প্রস্তাব প্রেরণ করা হয়েছে।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডে কমর্রত হাইমচরের দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ‘প্রকল্প দু’টি বাস্তবায়িত হলে মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন থেকে ফেরিঘাট রক্ষা পাবে। ড্রেজিংয়ের ফলে নদীর নাব্যতা ফিরে আসবে ও নৌ-চলাচল স্বাভাবিক হবে। মেঘনা নদীর ডান তীরে স্থানীয় জনবসতি, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনাসহ অসংখ্য কৃষি জমি ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে।