হয়রানিমুক্ত সেবা নিশ্চিত করতে পুলিশ বাহিনীর প্রতি রাষ্ট্রপতির নির্দেশ

844

ঢাকা, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আজ সেবা প্রার্থীরা যাতে কোন ধরনের হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে পুলিশ বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনাদের নিকট সেবা নিতে আসা কোন মানুষই যেন হয়রানির শিকার না হয় এবং প্রয়োজনীয় আইনগত সেবা ও পরামর্শ পায় সেদিকে সবিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’
‘পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯’ উপলক্ষে আজ বুধবার বিকালে বঙ্গভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জনগণের সেবায় পুলিশ বাহিনী সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, আন্তরিকতা ও সততার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করবে।
‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি একটি দেশের স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির পূর্বশর্ত। অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও একটি নিরাপদ সমাজ প্রতিষ্ঠায় আপনাদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ আশা করে পুলিশ আরও সেবাধর্মী ও জনবান্ধব বাহিনী হবে।
অপরাধ ও অপরাধীরা নির্দিষ্ট কোন সীমায় আবদ্ধ নয়-উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে সংঘবদ্ধ অপরাধীরা দেশিয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অপরাধ নেটওয়ার্কের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাচ্ছে।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘এ ধরনের অপরাধ নিয়ন্ত্রন ও মোকাবিলা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হওয়া সত্ত্বেও সংঘবদ্ধ অপরাধসহ সন্ত্রাস, জঙ্গীদমন ও মাদকের বিস্তার রোধে পুলিশ সদস্যগণ যে পেশাদারিত্ব, দক্ষতা ও সাহসিকতা প্রদর্শন করেছে।’
রাষ্ট্রপতি সমাজে শান্তি বজায় রাখা এবং জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনসহ দেশে ও বিদেশে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সাফল্যের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, মানবাধিকার ও গনতান্ত্রিক মূল্যবোধ সমুন্নত রেখে অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা বজায় রাখা, জনগণের জান-মাল রক্ষা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সন্ত্রাসবাদ তথা অপরাধ দমন করা পুলিশের প্রধান দায়িত্ব।
পুলিশ সদস্যদের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও আধুনিকীকরণে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপ সম্পর্কে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, জনসাধারণের জন্য পুলিশের সেবাগুলো সহজসাধ্য করার লক্ষেই এসব পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের একটি নিরাপদ, সুখী ও উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মানে ‘রূপকল্প-২০২১’ও ‘রূপকল্প-২০৪১’ এবং ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ বাস্তবায়নের সকলকে সক্রিয় ও সম্মিলিত অংশগ্রহন করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাভেদ পাটোয়ারি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সজিব মোস্তাফা কামালউদ্দিন, রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবগণ এবং জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।