বাসস ক্রীড়া-৩ : আবারো পয়েন্ট হারালো লিভারপুল

120

বাসস ক্রীড়া-৩
ফুটবল-প্রিমিয়ার লিগ
আবারো পয়েন্ট হারালো লিভারপুল
লন্ডন, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : ওয়েস্ট হ্যামের সাথে ১-১ গোলে ড্র করে আবারো পয়েন্ট হারিয়েছে লিভারপুর। একইসাথে টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটি নিজেদের আরো এগিয়ে নেবার সুযোগও হাতছাড়া করেছে। জার্গেন ক্লপের দলের ছন্দহীন পারফরমেন্সে কাল লন্ডন স্টেডিয়ামে লিভারপুলকে পুরো ম্যাচে খুঁজেই পাওয়া যায়নি।
মাত্র এক সপ্তাহ আগে লিস্টার সিটির সাথে ১-১ গোলে ড্র করার কারনে ম্যানচেস্টার সিটির সাথে এখন লিভারপুলের পয়েন্টের ব্যবধান মাত্র তিন। অথচ এই ব্যবধান খুব সহজেই সাতে নিয়ে যেতে পারতো অল রেডসরা। বুধবার এভারটনের সাথে জিততে পারলে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিটির সামনে সুযোগ থাকবে টেবিলের শীর্ষে উঠে আসার।
২২ মিনিটে সাদিও মানের গোলে লন্ডন স্টেডিয়ামে এগিয়ে যায় সফরকারী লিভারপুল। কিন্তু ২৮ মিনিটেই মিখাইল এন্টোনিও ম্যাচে সমতা ফেরান। পরে ডিক্লান রাইস ও মার্ক নোবেলের ব্যর্থতায় ওয়েস্ট হ্যামের পূর্ণ তিন পয়েন্ট পাওয়া হয়নি।
লিগের প্রথম ২৩টি ম্যাচে শীর্ষ ছয়টি দলের বিপক্ষে শতভাগ জয় দিয়ে দারুন একটি মৌসুম শুরু করেছিল লিভারপুল। কিন্তু পরপর দুই ম্যাচে পয়েন্ট হারিয়ে ২৯ বছর পর প্রথমবারের মত শিরোপা জয়ের মিশনে কিছুটা হলেও পিছিয়ে পড়েছে ক্লপ শিষ্যরা। যদিও এর পিছনে ইনজুরি আক্রান্ত জর্ডান হেন্ডারসন, জর্জিনিও উইজনালডাম ও ট্রেন্ট আলেক্সান্দার-আর্নল্ডের অনুপস্থিতিকেও দায়ী করা হচ্ছে।
হ্যামারস বস ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি বলেছেন ম্যাচটিতে জয় না পাওয়া ছিল দারুন হতাশার। বিশেষ করে গত সপ্তাহে উলভসের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয়ে দলের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ছিল। যদিও লিগ ওয়ানের দল এএফসি উইম্বলডনের কাছে পরাজিত হয়ে এফএ কাপ থেকে বিদায় নেয়াটা অনেকেই মেনে নিতে পারেনি। তবে ইনজুরি আক্রান্ত তারকা অস্ট্রিয়ান ফরোয়ার্ড মার্কো আরনটোভিচের অনুপস্থিতি দলের ওপর যে কোন প্রভাব ফেলেনি সেটাই স্বস্তির বিষয়।
ঘরের মাঠে কালকে প্রথম সুযোগটাও সৃষ্টি করেছিল ওয়েস্ট হ্যামই। জেভিয়ার হার্নান্দেজের পর এ্যারন ক্রেসওয়েলের শট অল্পের জন্য এ্যালিসনের পাশ দিয়ে বাইরে চলে যায়। নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়ে রাইট-ব্যাক পজিশনে খেলতে নেমে জেমস মিলনারকে হ্যামারসদের আগ্রাসী কৌশলের বিপক্ষে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। লিভারপুলের এগিয়ে যাবার পিছনে অবশ্য ইংল্যান্ডের এই সাবেক মিডফিল্ডারেরই অবদান ছিল। যদিও গোলটি নিয়ে বিতর্ক ছিল। নিশ্চিত অফ-সাইড পজিশনে থাকার পরেও মিলনারের বাড়িয়ে দেয়া বল থেকে মানে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। মৌসুমে এটি সেনেগালের ফরোয়ার্ড মানের ১২তম গোল। যদিও লিভারপুল এই লিড ধরে রেখেছিল মাত্র ৬ মিনিট। ফিলিপ এন্ডাসনের পাস থেকে এন্টোনিওর গোলে সমতা ফেরায় ওয়েস্ট হ্যাম। বিরতির তিন মিনিট আগে এন্ডারসনের আরেকটি ফ্রি-কিক থেকে একেবারে ফাঁকায় দাঁড়ানো রাইসের হেড অল্পের জন্য পোস্টের ঠিকানা খুঁজে পায়নি।
বিরতির পর দীর্ঘদিন গোল না পাওয়া মোহাম্মদ সালাহ দু’বার চেষ্টা করেও হ্যামারস গোলরক্ষক লুকাস ফাবিনিস্কির দক্ষতায় গোল পাননি। যদিও দুটি প্রচেষ্টাই মিশরীয় এই তারকার শক্তি ও গতির অভাব ছিল। একইসাথে অন্যদিক থেকে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার এন্ডারসনের প্রচেষ্টাও অব্যাহত ছিল। তার সহযোগিতায় পাওয়া দারুন একটি পাস থেকে নোবেল ওয়েস্ট হ্যামের হয়ে শেষ সুযোগটি নষ্ট করেন।
বাসস/নীহা/১৫০০/স্বব