বগুড়ায় বোরো উৎপাদনে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা

360

বগুড়া, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০১৯ (বাসস) : জেলার চাষীরা বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে। কোথাও কোথাও বোরোর জন্য জমি প্রস্তুতের কাজ চলছে। আবার কোন কোন জমিতে চলছে বোরো রোপনের কাজ। এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় কোল্ড ইন্জুরির কবলে পড়েনি বোরো বীজ তলা। ফলে বোরোর চারার কোন ক্ষতি হয়নি।
এবার বগুড়ায় ১লাখ ৮৯ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্র নির্ধারণ করেছে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে গত বছর জেলা বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো কম চাষ হবে বলে জানান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস। চলতি মৌসুমে বোরো উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে (চাল আকারে) ৭লাখ ৫৪ হজার মেট্রিক টন।
জেলার সর্বত্র এখন বোরো চাষের ধুম পড়েছে। কোন কোন কৃষক জমিতে সেচ দিয়ে ট্রাক্টর বা কলের লাঙ্গল দিয়ে বোরো রোপনের জন্য জমি প্রস্তুত করছে। গত মধ্য জানুয়ারী থেকে অনেক কৃষক বোরো রোপন শুরু করেছে। এ পর্যন্ত জেলায় নির্ধারিত লক্ষমাত্রার ৩১ শতাংশ অর্থাৎ ৭১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। এবার কুয়াশা না হওযার কারণে বোরো ক্ষেত কোল্ড ইনজুরীর কবলে পড়েনি বোরো বীজ তলা । ফলে এবার চারা সংকটে পড়েনি কৃষকরা। চলতি মৌসুমে জেলায় ১০ হাজার ৪০০ হেক্বটর জামিতে বীজ তলা তৈরী করেছে কৃষক। এবার ৯ হাজার হেক্টর জমির চারা দিয়ে বোরো চাষ সম্ভব হবে। বোরো চাষের পরও ১ হাজার হেক্টর জমির চারা উদ্বৃত্ত থাকবে।
এদিকে চলতি মৌসুমে জেলায় ১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো চাষ কম চাষ হওয়ার কারণ হিসেবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আরও জানান, কৃষকরা বোরো চেয়েও বেশি লাভজনক শস্য উৎপাদনে আগ্রহী গম, ভূট্টা, ও শাক-সবজী উৎপাদনকে প্রধান্য দিচ্ছে। তারা গম, ভূট্টা, ও শাক-সবজী উৎপদন করে বিক্রি করে আউস চাষ করবে। এই সময়ে তারা আউস ছাড়া একটি বাড়তি (ফসল অথবা গম অথবা ভূট্টা) পাবার আশায় করে গত বছরের তুলনায় ১ হাজার হেক্টর কম জমিতে বোরো রোপণ কম করেছে।
গত বছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম জমিতে বোরো চাষ হলেও আবহাওয়া অনুকূল হলে চলতি মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে এমনটাই আশাবাদ ব্যাক্ত করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।