রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরে যেতে মালয়েশিয়ার সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

397

ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের দেশে ফিরে যাবার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য মালয়েশিয়ার প্রতি আহবান জানিয়েছেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার নূর আশিকিন বিন্তি মোহাম্মদ তাইব আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহবান জানান।
প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে সমর্থন জানানোর জন্য মালয়েশিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে রোহিঙ্গা শরনার্থীদের আশ্রয় দিয়েছে। তবে এতে দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহ্সানুল করিম প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, এ ধরনের মানবিক বিপর্যয়োর সময়ে আপনি চোখ বন্ধ করে রাখতে পারেন না।
শেখ হাসিনা বলেন, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেয়ায় কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। শুধু মিয়ানমার থেকে নয়, সৌদি আরব ও ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে আসছে।
বৈঠকে শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র করে দেয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, প্রায় আট হাজার লোক সেখানে আশ্রয় শিবির নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দ্বীপে মিষ্টি পানিসহ সবধরনের সুযোগ সুবিধা থাকবে। তিনি আরো বলেন, সরকার উপকূল এলাকায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রও নির্মাণ করছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তুলে ধরেন।
প্রধানমন্ত্রী কক্সবাজার বিমান বন্দরকে আর্ন্তজাতিক মানের বিমান বন্দর হিসাবে উন্নীত করার প্রক্রিয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি নির্মীত হলে পূর্ব পশ্চিমের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। বিমানবন্দরটিতে পূর্ব থেকে পশ্চিমে যাবার পথে জ্বালানী সংগ্রহের সুবিধা থাকবে।
বৈঠকে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনার বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে একজন বিশাল হৃদয়ের মানুষ হিসাবে উল্লেখ করেন। বাংলাদেশে তার দায়িত্বপালনকালে তাকে সহায়তা করার জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় চমৎকার সম্পর্কের উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীনতা লাভের পর বাংলাদেশকে প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারি দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া একটি।
মালয়েশিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করে বলেন, দেশটি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের জনগণকে তিনি পছন্দ করেন। ঢাকায় তার দায়িত্ব পালনকালে বাংলাদেশকে তিনি তার নিজ দেশের মতোই মনে করেছেন।
অনুষ্ঠানে মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান এবং প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মো. জয়নুল আবেদীন উপস্থিত ছিলেন।