ই-কমার্স খাতের বিকাশে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নের আহবান

616

ঢাকা, ১ জুন, ২০১৮ (বাসস) : ই-কমার্স খাতের বিকাশে প্রয়োজনীয় নীতিমালা প্রণয়নের আহবান জানিয়েছেন ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি কামরুল ইসলাম।
আজ রাজধানীতে ২ দিনব্যাপী ‘ই-কমার্স প্রোমোশন এক্সপো’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই নীতিমালা প্রণয়নের আহবান জানান। প্ল্যাটিনাম ইভেন্টস্ গুশলানে গার্ডেনিয়া গ্যান্ড হলে এই এক্সপো’র আয়োজন করেছে।
‘ই-কমার্স প্রোমোশন এক্সপো’ আগামীকাল পর্যন্ত চলবে।
অনুষ্ঠানে এ্যামটপ-এর মহাসচিব টি আই এম নূরুল কবীর বিশেষ অতিথি ছিলেন।
ডিসিসিআই’র ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ৮ কোটি। দেশের অধিকাংশ মানুষ এখন মোবাইল ফোন ব্যবহার করছে এবং এ সংখ্যা প্রতিনিয়তই বাড়ছে। এর মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় যে, বাংলাদেশে ই-কমার্স কার্যক্রমের সম্ভাবনা অত্যন্ত উজ্জ্বল।
তিনি সম্ভাবনাময় এ খাতটির বিকাশের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার জন্য নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহবান জানান।
কামরুল ইসলাম জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতার জন্য বাংলাদেশি পণ্যের “প্রডাক্ট লিষ্টিং” অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এক্ষেত্রে দরাজ ডটকম উদ্যোক্তাদের সহায়তা প্রদানে আগ্রহী।
তিনি আরো জানান, ২০১৭ সালে দেশের ই-কমার্স খাতের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৭০ ভাগ এবং এর পরিমাণ ছিল প্রায় ১ হাজার কোটি টাকা।
তিনি বলেন, আমাদের জিডিপিতে ই-কমার্সের অবদান ১ ভাগ এর কম, তবে এখাতের সঙ্গে প্রায় ১ হাজার উদ্যোক্তা ওতোপ্রোতভাবে জড়িত এবং ই-কমার্স খাত প্রায় ১ লাখ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে।
স্বাগত বক্তব্যে প্ল্যাটিনাম ইভেন্টস্-এর স্বত্বাধিকারী জুনায়েদ এইচ খান বলেন, এই ই-কমার্স প্রোমেশন এক্সপো-এর মূল উদ্দেশ্য হলো স্থানীয় উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যের দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ।
তিনি জানান, বাংলাদেশে অনলাইনে ব্যবসা পরিচালনা করছে এমন ৬০ জন উদ্যোক্তা আয়োজিত এ মেলায় অংশগ্রহণ করেছে যার মধ্যে তৈরি পোষাক, জুতা, প্রসাধনী এবং গৃহসজ্জা প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।
ডিসিসিআই’র পরিচালক খন্দকার রাশেদুল আহসানসহ এ খাতের উদ্যোক্তাবৃন্দ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।