মীরপুরের বধ্যভূমিগুলোতে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হবে : মোজাম্মেল হক

208

ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক বলেছেন, মীরপুরের আলোকদিয়া, মুসলিমবাড়ি ও জল্লাদখানাসহ গণহত্যার স্থানে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি চিরস্মরণীয় রাখার জাতীয় পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এটি বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রী আজ দুপুরে মীরপুর হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধা দিবস নির্ধারণ ও উদযাপনের বিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবীর প্রতি ঐকমত্য পোষণ করে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে ।
লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এই অর্জনকে অর্থপূর্ণ করতে সবাইকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস জানতে হবে এবং স্বাধীনতার চেতনাকে ধারণ করতে হবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরবর্তী প্রজন্মকে জানানোর এবং মুক্তিযোদ্ধাগণের স্মৃতি চিরজাগরুক রাখতে সরকার সম্ভাব্য সব কিছু করবে।
তিনি বলেন, বিতর্কহীন মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র প্রদান করা হবে এবং গৃহহীন মুক্তিযোদ্ধাদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে।
ঢাকা মহানগর মুক্তিযুদ্ধ কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আমীর হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি, আলহাজ ইলিয়াস উদ্দীন মোল্লা এমপি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক নেতৃবৃন্দ।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও রাজধানীর মিরপুরবাসী বিজয়ের স্বাদ পেয়েছিলেন দেড় মাস পর। এই দেড় মাস মিরপুরে বসবাসরত বিহারি, সাদা পোশাকে পরাজিত পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কিছু সৈন্য, সঙ্গে তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যরা বাঙালি নিধন করেছে, চালিয়েছে নির্যাতন।
১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মধ্য দিয়ে পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হয় মিরপুর। এজন্য মিরপুরকে বলা হয় বাংলার শেষ রণাঙ্গন। মিরপুরের সেদিনের যুদ্ধে জিয়াউল হক লোদী, সেলিমসহ শহীদ হন নাম না জানা অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা।