জয়পুরহাটে মৌ বক্সসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ

378

জয়পুরহাট, ৩১ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৌচাষ কার্যক্রম উৎসাহ দানের লক্ষ্যে সদর উপজেলার ৯ ইউনিয়নের ৯ জন প্রদশর্নী কৃষকের মাঝে মৌ বক্সসহ অন্যান্য উপকরণ বৃহষ্পতিবার বিতরণ করা হয়।
সদর উপজেলা কৃষি অফিস চত্বরে আয়োজিত ৯ জন মৌ চাষির হাতে মৌ বক্সসহ অন্যান্য উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিল্টন চন্দ্র রায়। এ সময় সরিষার উৎপাদন বৃদ্ধিতে মৌ চাষ সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেরাজুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মিশু আকতার প্রমূখ। কৃষক পর্যায়ে উন্নত মানের ডাল, তেল ও মসলা বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ওই সব উপকরণ বিতরণ করা হয়। জেলায় এবার সরিষার জমিতে ৭৫০ টি মৌবক্স স্থাপনের মাধ্যমে ৬০ মণ মধু সংগ্রহের আশা করছেন কৃষি বিভাগ।
মধু সেবন মানব দেহের জন্য বেশ উপকারী ও ওষুধী গুনাগুণ সমৃদ্ধ হওয়ায় বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা থাকে। তারমধ্যে নির্ভেজাল মধু প্রেমীর সংখ্যা আরো বেশি। এ ছাড়াও সরিষার পরাগায়নের জন্য মৌমাছি বড় ধরনের নিয়ামক হিসেবে কাজ করে। মৌমাছির মধু সংগ্রহের মাধ্যমে শতকরা ২০-৩০ ভাগ পর্যন্ত পরাগায়ন বৃদ্ধি পায় এবং সরিষার ফলনও ভালো হয়। স্থানিয় কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় মৌচাষের সঙ্গে সম্পৃক্ত মৌচাষিদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করছে। কৃষকদের জমির পাশে মৌবক্স স্থাপন ও নিরাপত্তা প্রদানে কাজ করছে কৃষি বিভাগ। সদর উপজেলার পুরানাপৈল ইউনিয়নের দস্তপুর গ্রামের চাষি সাদেক আলীর সরিষা জমির পাশে ১৫০ টি মৌবক্স স্থাপন ও মধু সংগ্রহ কার্যক্রম চলছে। এ ছাড়াও সদর উপজেলায় ৩শ টি মৌবক্সসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে সরিষার জমির পাশে মোট ৭৫০ টি মৌবক্স স্থাপনের মাধ্যমে মধু সংগ্রহ করছেন দুই মৌচাষি জালাল ও আপেল মাহমুদ। একটি মৌমাছি ৩-৪ কিলোমিটার পর্যন্ত গিয়ে মধু সংগ্রহ করে থাকে। জয়পুরহাটে মৌবক্স স্থাপনের মাধ্যমে সরিষার ফুল থেকে প্রায় ৬০ মণ মধু সংগ্রহ করা সম্ভব হবে বলে জানান, মৌচাষি জালাল ও আপেল মাহমুদ।