নাটোরে বনজ সম্পদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি বিষয়ক কর্মশালা

487

নাটোর, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত ৫০টি প্রযুক্তির পরিচয় ও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বুধবার নাটোরে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, নার্সারী মালিক, ভেষজ উদ্ভিদ উদ্ভাবক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবীদের অংশগ্রহণে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাটোরের জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ।
কর্মশালায় জানানো হয়, বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট ১৯৫৫ সালে চট্রগ্রামে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বনজ সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, উৎপাদন বৃদ্ধি, বন্যপ্রাণীসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিষ্ঠানের ১৭টি গবেষণা বিভাগের আওতায় এ পর্যন্ত ৫০টি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এসব প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারলে দেশ বনজ সম্পদে সমৃদ্ধি লাভ করবে। উন্নতমানের বীজ ও চারা উদ্ভাবন, ভূমির উপযোগিতা অনুসারে বৃক্ষরোপণ, ভেষজ উদ্ভিদের চাষ ও সংরক্ষণ, স্বল্প শ্রম ও মূল্যে চারা রোপণের সহজ পদ্ধতি, অব্যবহৃত কাঠ দ্বারা আকর্ষণীয় বস্তু তৈরি প্রযুক্তি উদ্ভাবন ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ ইনস্টিটিউট সাফল্য লাভ করেছে।
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, টেকসই উন্নয়নের কাংঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছতে হলে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ বনজ সম্পদের উন্নয়ন ও সম্পসারণ অপরিহার্য। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির সম্প্রসারণ ঘটাতে পারলে খুব সহজেই লক্ষ্য অর্জন সম্ভব হবে।
নাটোরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার সাইফুল্লাহ আল মামুন ও সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরুন্নবী মৃধা। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রশিক্ষণ প্রযুক্তি হস্তান্তর ইউনিটের আহ্বায়ক মো. আনিসুর রহমান স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং পাওয়ার পয়েন্টে উম্ভাবিত প্রযুক্তিসমূহ উপস্থাপন করেন। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের বন ব্যবস্থাপনা উইং-এর মুখ্য গবেষণা কর্মকর্তা ড. মো. মাসুদুর রহমান কর্মাশালা প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন।