বাজিস-১ : লক্ষ্মীপুরে ১২টি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে

174

বাজিস-১
লক্ষ্মীপুর-সেতু নির্মাণ
লক্ষ্মীপুরে ১২টি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে
লক্ষ্মীপুর, ৩০ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জেলা সদরের বিভিন্ন এলাকায় জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে ১২টি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব সেতু নির্মাণে ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। সেতু গুলোর নির্মাণ কাজ শেষ হলে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ সুবিধাভোগ করবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরে গ্রামীণ রাস্তায় কম-বেশি ১৫ মিটার সেতু/কালভার্ট নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১২টি সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। এরমধ্যে বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের দক্ষিণ রাধাপুর ও নেয়ামতপুর ডিসি খালের উপর ২টি, লাহারকান্দি ইউনিয়নের যাদৈয়া-চাঁদখালী খাল ও পূর্ব চাঁদখালী ভুলুয়া খালের উপর ২টি, ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উভুতি মুসার খালের উপর ২টি, মান্দারী ইউনিয়নের মান্দারী-গন্ধব্যপুর খালের উপর ২টি, উত্তর হামছাদী ইউনিয়নের বিজয়নগর গ্রামের কোরালিয়া খালের উপর ১টি, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের আমানী লক্ষ্মীপুর এলাকায় ১টি, চররমনী মোহন ইউনিয়নের কাছিয়ার খালের উপর ১টি এবং হাজিরপাড়া ইউনিয়নের রহমতখালী সংযোগ খালের উপর ১টি সেতু। সেতুগুলোর প্রাক্কলিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৩ কোটি ৪৮ লাখ ৪ হাজার ২২৪ টাকা। আগামী ৩০ জুন-এর মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথা রয়েছে।
বাঙ্গাখাঁ ইউনিয়নের পূর্ব বাঙ্গাখাঁ গ্রামের ওমর ফারুকসহ স্থানীয় কয়েকজন বাসসকে বলেন, আমরা দীর্র্ঘদিন থেকে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করে এ খালের উপর দিয়ে চলাচল করেছি। আমরা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। বিশেষ করে, কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে অনেক কষ্ট করে খাল পার করতে হতো, গ্রামের ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যাওয়া আসার সময় ঝুঁকি থাকতো। বর্তমানে সরকারি খরচে এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। ব্রিজটির কাজ শেষ হলে খাল পারাপারে আমাদের আর সমস্যা থাকবে না।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোশারফ হোসেন বাসসকে বলেন, গ্রামীণ অবকাঠামো ও রাস্তাঘাট উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার নানামুখী প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে গ্রামীণ রাস্তায় কম-বেশি ১৫ মিটার সেতু/কালভার্ট নির্মাণ শীর্ষক একটি প্রকল্প রয়েছে। এর আওতায় লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ১২টি সেতুর নির্মাণ কাজ চলছে। সেতু গুলোর যথাযথ মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা তদারকি করছি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে জানান তিনি।
বাসস/সংবাদদাতা/কেইু/১১২৫/নূসী