শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল কর্মকর্তাদের কর্মশালা অনুষ্ঠিত

277

ঢাকা, ২৭ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেছেন, শিল্প-সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী কাজ করছে শিল্পকলা একাডেমি। সৃজনশীল সংস্কৃতিসেবী গড়ে তোলা এবং বাঙালি সংস্কৃতির প্রসারই একাডেমির মূল লক্ষ্য।
তিনি একাডেমির ‘জেলা ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে এই বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, এটা শুধু কর্মশালা ছিলো না, ছিলো আগামী দিনে এগিয়ে যাওয়ার ব্যাপক কর্মপরিকল্পনা। এই ধারায় এগিয়ে গেলেই কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব। কক্সবাজার বিয়াম মিলনায়তনে দু’দিনব্যাপী এই কর্মশালা গতকাল শেষ হয়। একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ সংবাদ জানানো হয় ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে একাডেমির ঢাকা এবং জেলা কার্যালয়ের ৬৩ জন কর্মকর্তা প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন। উপস্থিত ছিলেন একাডেমির নাট্যকলা বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. বদরুল আনাম ভূঁইয়া, প্রকাশনা ও গবেষণা বিভাগের পরিচালক মো. জসিম উদ্দিন। প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন একাডেমির সচিব ড. কাজী আসাদুজ্জামান।
কর্মশালায় সারাদেশে বছরব্যাপী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড, জেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণ কার্যক্রম, জেলা উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি তত্ত্বাবধান ও সমন্বয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমি সম্মাননা, ঐতিহ্যবাহী বাংলা নাটকের ডক্যুমেন্টেশন ও ৬৪ জেলায় দেশীয় যাত্রাপালা নির্মাণ কার্যক্রমে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সেল গঠন ও পরিচালনা বিষয়ে বিস্তারিত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। জেলা কালচারাল অফিসারবৃন্দ নিজ নিজ জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্মকান্ডের প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
এ উপলক্ষে কক্সবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমি জেলা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত আলোচনা পর্বে উপস্থিত ছিলেন একাডেমির সচিব ড. কাজী আসাদুজ্জামান, কক্সবাজার জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিত পাল বিসু এবং কালচারাল অফিসার সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
এতে ১৪ জন কালচারাল অফিসারকে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘সৃজনশীল কালচারাল অফিসার সম্মাননা ২০১৮’ প্রদান করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত তেরটি জেলার কালচারাল পদক প্রাপ্তরা হচ্ছেন, আসাদুজ্জামান সরকার, মো. আরজু পারভেজ, অসিত বরণ দাশ গুপ্ত, পার্থ প্রতিম দাশ, আল মামুন বিন সালেহ, শাহাদাৎ হোসেন, আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী, সৈয়দ জাকির হোসেন, মো. মোসলেম উদ্দিন, মো. সুজন রহমান, জ্যোতি সিনহা, শাহেলা খাতুন, শারমীন জাহান ও নুঝাত তাবাসসুম রিমু।