নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণ এখন চ্যালেঞ্জ : কৃষিমন্ত্রী

235

ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জনগণের নিরাপদ খাদ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করণ বাংলাদেশের জন্য এখন দুটি চ্যালেঞ্জ। কৃষি উৎপাদন বাড়লে নিরাপদ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্যের যোগান নিশ্চিত হবে ।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক আজ রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) অডিটরিয়ামে জাতীয় সবজি মেলার সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
উৎপাদনমুখী খাতে বিনিয়োগ বাড়িয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত করতে হবে এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেকক্ষেত্রে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য দাম পাচ্ছে না। প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে মূল্য সংযোজন ও রপ্তানি বাড়াতে পারলে দেশের বাজারও সম্প্রসারণ হবে। কৃষক তার ফসলের ন্যায্য দাম পাবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের ১৬ কোটি মানুষের অধিকাংশই তাদের আয় দিয়ে সবজি, ডিম ও দুধসহ প্রয়োজনীয় কৃষি পণ্য কিনে খেতে পারে না। তাই সম্ভাবনা থাকলেও দেশের অভ্যন্তরের কাঙ্খিত কৃষি পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে না। ‘শুধু সচেতনতার অভাবে দেশের মানুষ সবজি খায় না,এ কথার সঙ্গে ভিন্নমত পোষন করে মন্ত্রী বলেন,মানুষ এখন অনেক সচেতন। তারা সব কিছু কিনতে চায়। কিন্তু ক্রয়ক্ষমতার অভাবে বাজারে কম দামের পণ্য ছাড়া অন্য কিছু কিনতে পারে না। যা কৃষি উন্নয়নের অন্তরায়।’
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই কৃষিকে এগিয়ে নিতে হবে। লক্ষ্য পূরণে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে সমন্বিতভাবে কাজ করার পলিসি নির্ধারণ করতে হবে। আর এ জন্য কৃষি খাতের সকলের সহযোগিতার কোনো বিকল্প নেই।’ কৃষির অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘হাইব্রিড বীজসহ নানা সীমাবদ্ধতায় এ সম্ভাবনাকে যথাযথভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। একটি বা দুটি ছাড়া আমাদের বিজ্ঞানীরা আর কোন হাইব্রিড বীজ আবিষ্কার করতে পারেননি। কেন তারা হাইব্রিড জাতের বীজ আবিষ্কার করতে পারছেন না, তাও ভেবে দেখার সময় এসেছে।’ কৃষি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. নাসিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে সেমিনারে স্বাগত বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শী, সংসদ সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান ।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন,বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. গোলাম মোর্শেদ আব্দুল হালিম,বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও পরিকল্পনা কমিশনের সাবেক সদস্য ড. এম এ সাত্তার মন্ডল, হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মনজুরুল হান্নান ও হর্টেক্স ফাউন্ডেশনের সাবেক ব্যবস্থাপনা ড. মো. আব্দুল জলিল ভূঁঞাপ্রমুখ।
এর আগে কৃষিমন্ত্রী কেআইবি চত্বরের তিন দিনের জাতীয় সবজি মেলা ২০১৯ এর উদ্বেধন করেন।
মেলা উপলক্ষে সকালে এক র‌্যালি জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা থেকে শুরু করে কেআইবি চত্বরে শেষ হয়। মেলায় বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৭১ টি স্টল ও ৫টি প্যাভেলিয়ন অংশ নিচ্ছে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য মেলা উন্মুক্ত থাকছে। মেলা চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।