শুরু হলো জাতীয় পিঠা উৎসব

353

ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হয়েছে জাতীয় পিঠা উৎসব। উৎসবে অর্ধ শতাধিক স্টল স্থাপিত হয়েছ। বিক্রি হচ্ছে বাঙালি সংস্কৃতির নানা ধরণের পিঠা। উদ্বোধনী দিনেই উৎসবে বিপুল সংখ্যক পিঠা প্রেমীদের ভিড় লেগে যায়।
জাতীয় পিঠা উৎযাপন পরিষদ ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যৌথভাবে এই উৎসব আয়োজন করেছে। একাডেমির মাঠের পুরোইটাই উৎসব চলছে। দ্বাদশ পিঠা উৎসবকে ঘিরে প্রতিদিন আয়োজন করা হচ্ছে বিনোদনমূলক নানা অনুষ্ঠান।
উৎসব উদ্বোধন করতে গিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাঙালি সংস্কৃতিকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছাতে সক্ষম হয়েছে। শিল্পকলা একাডেমি গত এগার বছরে শিল্প-সংস্কৃতির মানকে অনেক দূর নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে এইধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন , হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে উত্তরাধিকার ভোজনরসিক বাঙালির অনন্য এক ঐতিহ্য হচ্ছে বাহারী পিঠা। এই উৎসবে রাজধানীর পিঠাপ্রেমীরা তাদের চাহিদা মোতাবেক পিঠা ক্রয় করতে পারবেন, এই সাথে সংস্কৃতির নানা আয়োজন উপভোগ করতে পারবেন। সব মিলিয়ে এই উৎসব শীতকালের আমেজকে আরও বৃদ্ধি করবে সবার জন্য।
সভাপতির ভাষনে লিয়াকত আলী লাকী বলেন , নগরের মানুষদের বাঙালির অনন্য এই ঐতিহ্যের সাথে নি্িবড় বন্ধনে আবদ্ধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি ও জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদ জাতীয় পিঠা উৎসব আয়োজন করছে। প্রথম এই উৎসব শুরু হয় ২০০৮ সালে জানুয়ারি মাসে। ধীরে ধীরে এই উৎসব বাংলাদেশের শিল্প সংস্কৃতিক আঙ্গনের মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আন্তর্জাতিক নাট্যব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার, মঞ্চসারথি আতাউর রহমান, দেশবরেণ্য নৃত্যগুরু আমানুল হক, দেশবরেণ্য চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী বক্তব্য রাখেন। প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ম. হামিদ এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন জাতীয় পিঠা উৎসব উদ্যাপন পরিষদের সদস্য সচিব খন্দকার শাহ্ আলম।
শিল্পকলা একাডেমি থেকে বাসসকে জানান হয় , দশদিনব্যাপী যুগপূর্তি এই পিঠা উৎসব চলবে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। উৎসব অঙ্গনে প্রতিদিন বিকেল চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত পিঠাপ্রেমীদের জন্য উন্মুক্ত মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে থাকবে নাটক, নৃত্য, আবৃত্তি, সংগীত, কৌতুক, যাদু প্রদর্শনী।
উৎসব প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে শুরু হয়ে রাত নয়টা পর্যন্ত চলবে। উৎসবের সকল আয়োজন সবার জন্য উন্মুক্ত। অনুষ্ঠানের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের লক্ষ্যে উৎসবস্থলের পূর্বপাশে বিশাল মঞ্চ স্থাপিত হয়েছে।