বাসস দেশ-২০ : ইউনিপে টু-এর চেয়ারম্যান, এমডিসহ ছয় কর্মকর্তাকে ১২ বছরের জেলসহ অর্থদন্ড

161

বাসস দেশ-২০
আদালত-রায়
ইউনিপে টু-এর চেয়ারম্যান, এমডিসহ ছয় কর্মকর্তাকে ১২ বছরের জেলসহ অর্থদন্ড
ঢাকা, ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : অর্থ পাচার মামলায় ‘ইউনিপে টু’-এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)সহ ছয় কর্মকর্তাকে ১২ বছরের কারাদন্ডসহ অর্থদন্ড দিয়ে আজ রায় ঘোষণা করেছে ঢাকার একটি আদালত।
কারাদন্ডের পাশাপাশি আসামীদের ২ হাজার ৭০২ কোটি টাকা অর্থদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। রায় ঘোষণার ১৮০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রের অনুকূলে এই টাকা জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেন আজ এ রায় দেন। দন্ডিত আসামীরা হলেন ‘ইউনিপে টু ইউ’-এর চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান শাহীন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ মুনতাসির হোসেন, নির্বাহী পরিচালক (ইডি) মাসুদুর রহমান, ব্যবস্থাপক জামশেদ রহমান, উপদেষ্টা মঞ্জুর এহসান চৌধুরী এবং ইউনিল্যান্ডের পরিচালক আরশাদ উল্লাহ। দন্ডিতদের মধ্যে মুনতাসির, জামশেদ ও আরশাদ আদালতে হাজির ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। বাকিরা পলাতক আছেন। পলাতকদের বিরুদ্ধে আদালত নাজা পরোয়ানা জারি করেছে।
দুদকের পক্ষের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল আজ বাসস’কে এসব কথা জানান।
রায়ে বলা হয়, অর্থ পাচার আইনে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত হয়েছে। মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন হিসাবে অবরুদ্ধ অর্থ রয়েছে উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, অবরুদ্ধ ৪২০ কোটি ১৪ লাখ ২৯ হাজার ৬৬৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
বহুধাপ (এমএলএম) এ বিপণন প্রতিষ্ঠান ‘ইউনিপে টু ইউ’-এর নামে এবং আসামীদের পরিচালিত সম্পত্তি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
স্বল্প সময়ের মধ্যে অধিক মুনাফার লোভ দেখিয়ে টাকা জমা নিয়ে তা নিজেদের হিসাবে স্থানান্তর করার অভিযোগ এনে ২০১১ সালের ২৫ জানুয়ারি এ আসামীদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তদন্ত শেষে ছয় আসামীদের বিরুদ্ধে ওই বছরের ২৬ জুন আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জসিট) দেন দুদকের উপপরিচালক তৌফিকুল ইসলাম।
এ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ‘ইউনিপে টু ইউ’র চেয়ারম্যানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের ৬ জুলাই বিচার শুরু (চার্জগঠন) করে বিচারিক আদালত। মামলায় ২৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
বাসস/এএসজি/ডিএ/১৯৩২/এমকে