শিগগির বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সোনালি ব্যাগ উৎপাদন শুরু হবে : বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

302

ঢাকা, ২৩ জানুয়ারী, ২০১৯ (বাসস) : দ্রুত সময়ের মধ্যে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে সোনালি ব্যাগ উৎপাদন শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, বীরপ্রতীক।
তিনি বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশকে ব্যান্ডিং করবে পাট থেকে উৎপাদিত ‘সোনালি ব্যাগ’।
সোনালি ব্যাগের উদ্ভাবক ও বিজেএমসি’র বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা ড. মোবারক হোসেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও সোনালি ব্যাগের নমুনা হস্তান্তরকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন ।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাত অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর বলেন, বর্তমান সরকার সোনালি আঁশ পাটের উৎপাদন ও বহুমুখী ব্যবহার উৎসাহিত করে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় করার মাধ্যমে পাটচাষীদের স্বপ্নপূরণে জোরদার পদক্ষেপ নিচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার কাঁচা পাট ও বহুমুখী পাটজাত পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিকরণ, পাটজাত পণ্য রপ্তানি ও অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধিকরণ এবং পরিবেশ সুরক্ষায় পলিথিন বর্জনের ক্ষেত্রে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে পাটকে বিশ্ববাজারে তুলে ধরতে জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টারে (জেডিপিসি) ২৩৫ প্রকার পাটপণ্যের স্থায়ী প্রদর্শনী ও বিক্রয় কেন্দ্র চালু হয়েছে।
এসময় জানানো হয়, বাংলাদেশি বিজ্ঞানীর আবিষ্কৃত পলিথিনের বিকল্প পচনশীল সোনালি ব্যাগ দেখতে প্রচলিত পলিথিনের মতোই হালকা, পাতলা ও টেকসই। পাটের সূক্ষ্ম সেলুলোজকে প্রক্রিয়াজাত করে এই ব্যাগ তৈরি করা হয়েছে। পাটের তৈরি সোনালি ব্যাগ মাটিতে ফেললে তা মাটির সঙ্গে মিশে যাবে। ফলে পরিবেশ দূষিত হবে না। এই ব্যাগ দামে সাশ্রয়ী হবে। এভাবে পাটের ব্যবহার বাড়লে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাবেন।
উল্লেখ্য, পলিথিনের বিকল্প পচনশীল সোনালি ব্যাগ তৈরির প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয় ১২ মে ২০১৭।
বর্তমানে বিজেএমসির উদ্যোগে একটি ম্যানুয়েল পাইলট প্ল্যান্ট দিয়ে সোনালি ব্যাগ তৈরির কাজ করছে। তবে বৃহৎ পরিসরে নতুন উদ্ভাবিত সোনালি ব্যাগ তৈরিতে দেশে বা বিদেশে কোনো মেশিন তৈরি হয়নি। তাই এ ধরনের মেশিন তৈরির জন্য বিভিন্ন দেশে যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে মেশিন তৈরি করা হয়েছে। এতে প্রতিদিন ৩-৪ হাজার পলিব্যাগ উৎপাদন করা সম্ভব হয়। প্রকল্পটি সফলভাবে পরিচালিত হওয়ায় আরো একটি মেশিনের মাধ্যমে দ্রুত বাণিজ্যিকভাবে দৈনিক একলাখ পলিব্যাগের উৎপাদনের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
পরে মন্ত্রী সোনালি ব্যাগের উদ্ভাবক মোবারক হোসেনের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন এবং তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেন। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে তিনি গুরুতর হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বর্তমানে তিনি সুস্থ রয়েছেন।