হলি আর্টিজান হামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী মামুনুর রশিদ গ্রেফতার

386

ঢাকা, ২০ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : হলি আর্টিজান জঙ্গি হামলার চার্জশীটভুক্ত আসামী মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ ওরফে রিপন ওরফে রেজাউল করিম ওরফে আবু মুহাজিরকে (৩০) গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।
রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলার আগে মামুনুর রশিদ ৩৯ লাখ টাকা জোগাড় করে দিয়েছিলেন। এই হামলার জন্য তিনি অর্থ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সংগ্রহ করেন।
র‌্যাবের হাতে আটক হলি আর্টিজান মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি মামুনুর রশিদ র‌্যাবের কাছে এ কথা স্বীকার করেন।
আজ রোববার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
গতকাল শনিবার রাতে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান গ্রেফতারকৃত মামুনুরের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, গ্রেফতারের সময় তার কাছ থেকে একটি ডায়েরি, চারটি খসড়া মানচিত্র এবং নগদ ১ লাখ ৪৭ হাজার ৭৫৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।
তার বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রামের শেখের মারিয়া গ্রামে। ঢাকার মিরপুর, বগুড়ার নন্দীগ্রাম ও নওগাঁর বিভিন্ন মাদ্রাসায় তিনি লেখাপড়া করেন। সর্বশেষ ২০০৯ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মাদ্রাসাতুল দারুল হাদিস থেকে দাওরায়ে হাদিসে পড়াশোনা শেষ করেন তিনি। পরে বগুড়ার সাইবার টেক নামে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে অফিস অ্যাপ্লিকেশন কোর্স করে ওই প্রতিষ্ঠানেই চাকরি নেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সাইবার টেকে চাকরি করা অবস্থায় নজরুল নামের একজন চিকিৎসকের মাধ্যমে মামুনুর রশিদ জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন। ডা. নজরুল ওই সময়ে জেএমবির একাংশের আমির ছিলেন।
মুফতি মাহমুদ আরও জানান, সারওয়ার জাহান (পরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত) জেএমবির আমির হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর নতুন করে অর্থ সংগ্রহ ও দাওয়াতি কাজ শুরু করেন । মামুনুর বিকাশের দোকান লুটের ছয় লাখ টাকা, সিগারেট বিক্রেতার ছিনতাইকৃত এক লাখ টাকা, গাইবান্ধার এক ঘটনায় আরও এক লাখসহ মোট আট লাখ টাকা জোগাড় করে সারওয়ার জাহানের হাতে তুলে দেন। ২০১৫ সালের মাঝামাঝি সময়ে তামিম চৌধুরী (পরে জঙ্গিবিরোধী অভিযানে নিহত) ও সারওয়ার জাহানের মধ্যে গোপন বৈঠকের মাধ্যমে সমঝোতা হয়। ওই বৈঠকে মামুনুর উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে তাঁকে সুরা সদস্য মনোনীত করা হয়।
সংগঠনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মামুনুনের নেতৃত্বে একটি দল ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে অর্থ, অস্ত্র ও বিস্ফোরক সংগ্রহের জন্য একটি পার্শ্ববর্তী দেশে যান। হলি আর্টিজানে হামলার আগে মামুনুর ৩৯ লাখ টাকা জোগাড় করে সারওয়ার জাহানের হাতে তুলে দেন।