বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি) : সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

163

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ (দ্বিতীয় ও শেষ কিস্তি)
শেখ হাসিনা-সচিবালয়-পরিদর্শন
সুশাসন প্রতিষ্ঠায় দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সকাল ১০টায় দলের প্রয়াত সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আসেন শেখ হাসিনা।
‘জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানো নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে আওয়ামী সরকার’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘সরকার গঠনের পর থেকে সবগুলো মন্ত্রণালয় সরেজমিনে দেখার চেষ্টা করছেন।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর তৃতীয় বারের মত সরকার গঠনকে দেশের জন্য সেবা করার একটা বড় সুযোগ উল্লেখ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীত্বের পদটি এখানে বড় কথা নয়, মানুষের জন্য কতটুকু করতে পারলাম সেটাই বড় কথা।
তিনি এখানে সরকারী কর্মচারিদের দায়িত্ব বেশি এবং জনপ্রশাসনে সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারিদের দায়িত্ব সবথেকে বেশি বলে উল্লেখ করে এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সদ্য প্রয়াত সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম তাঁর অনুজ প্রতীম ছিলেন উল্লেখ করে তিনি এ সময় তাঁর পিতা (সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম) মুজিব নগর সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের কথাও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
সংস্থাপন মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নামকরণ তিনি করেন উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি এজন্য নামটি পরিবর্তন করে দিয়েছিলাম। কেননা জনগণের সেবা করা যে, এই মন্ত্রণালয়ের সবথেকে বড় দায়িত্ব, এখান থেকেই সেবাটা মানুষের কাজে পৌঁছে যাবে। সেটা সব সময় সকলে যেন মনে রাখতে পারেন।’
গত অর্থবছরে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৮৬ ভাগে উন্নীত হয়েছে এবং আগামী ৫ বছরে এই প্রবৃদ্ধি তাঁর সরকার ১০ ভাগে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষের কাছে অর্থনৈতিক সুফলটা পৌঁছে দেওয়া এবং সেজন্য আমরা তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বাস্তবমুখী অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি সেটা যদি আমরা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে সেই লক্ষ্য আমরা অবশ্যই অর্জন করতে পারবো।’
তাঁর সরকার মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ ভাগে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘উচ্চপ্রবৃদ্ধি অর্জন এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হলেই জনগণ অর্থনীতির সুফলটা ভোগ করে।’
সরকার প্রধান বলেন, আমাদের উন্নয়নের সবথেকে বড় সুফলটা হচ্ছে এটাই। কারন অনেক দেশ অনেক দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে তাদের মূল্যস্ফীতিও অনেক বেড়ে যায়। সেখানে আমরা এটা নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি।
অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকান্ড তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফয়েজ আহমদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়লাভের পর গত ৭ জানুয়ারি ৪৭ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। এ মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া ২৪ জন মন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী ও তিনজন উপমন্ত্রী রয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রিত্বের পাশাপাশি শেখ হাসিনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।
বাসস/এএসজি-এফএন/১৫৩৫/এমএসআই