ঝুঁকিপূর্ণ পুরাতন ভবনগুলো ভেঙ্গে ফেলতে হবে : রেজাউল করিম

690

ঢাকা, ১৪ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, ঝুঁকিপূর্ণ ও বাস অনুপযোগী পুরাতন ভবনগুলো ভেঙ্গে ফেলতে ভবন মালিকদের নির্দেশ দেয়া হবে।
তিনি বলেন, নির্দেশ কার্যকর করা না হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ ও বসবাস অনুপযোগী পুরাতন ভবন চিহ্নিতকরণের কাজ চলছে। এ কাজ শেষ হলে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনসমূহ ভেঙ্গে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট ভবন মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
রেজাউল করিম বলেন, আইন অমান্য করে ঢাকা শহরে কোন ভবন নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।
তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ভূমিকম্প বিষয়ক রাজউকের আরবান রেজিলেন্স প্রকল্পের পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত করে থাকে। এখানে ভূমিকম্পের মত প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকিও রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখতে হলে ভবন নির্মাণে ইমারত নির্মাণ বিধিমালা অনুসরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, বিধিমালা অনুসরণ করে ইমারত নির্মাণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করা হবে। একইসাথে এ বিষয়ে জনগণের মধ্যেও সচেতনাতা গড়ে তোলা হবে।
মন্ত্রী বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় বিশ্বে বাংলাদেশ অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশকে অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তিনি বলেন, অন্যান্য দুর্যোগের মত ভূমিকম্প মোকাবিলাতে জনগণকে আরো বেশি সচেতন ও অংশগ্রহণমূলক করতে হবে। এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
সভায় গৃহায়ন ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন, রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান, ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মেহেদী আল আনসারী, অধ্যাপক রাকিব আহসান, জাপানের টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কিমিরো মেগুরো, রাজউকের সদস্য মেজর (অব.) শামসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রকল্পের আওতায় ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতি সহনীয় পর্যায়ে রাখার প্রস্তুতি হিসেবে ঢাকা ও সিলেট শহরের ভূমিকম্পের ঝুঁকি পর্যালোচনা, এ দু’টি শহরের মাটির ঝুঁকিপূর্ণতা পর্যবেক্ষণ ও ভূমি ব্যবহার পরিকল্পনা প্রণয়ন, ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে রাজউকের নকশা অনুমোদনে অনলাইন পদ্ধতি চালু এবং প্রকৌশলী, স্থপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদদের পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে সভায় অবহিত করা হয়।
সরকার ও বিদেশি আর্থিক সহযোগিতায় এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে বলে জানানো হয়।