নির্বাচনে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে ড. কামাল তথাকথিত সংলাপ নামের ভাওতাবাজির কথা বলছেন : তথ্যমন্ত্রী

448

ঢাকা, ১২ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সদ্যসমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। কিন্তু নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেন তথাকথিত সংলাপ নামের ভাওতাবাজির কথা বলছেন।
আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে জাতির পিতার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি ও তাদের সহযোগী কিছু নেতার চিকিৎসা প্রয়োজন। তারা বহুল প্রশংসিত নির্বাচনে হেরে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে সংলাপের কথা বলছেন। তাদের মানসিক চিকিৎসা বেশি দরকার।’
তিনি আরও বলেন, ‘সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সহিংসতা হয়েছে ; যা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত, ইতিহাসে বিরল। নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে বিএনপি’তে হায়ারে খেলতে যাওয়া ড. কামাল হোসেন সংলাপ নামের ভাঁওতাবাজির কথা বলছেন।’
বিএনপি’র উদ্দেশ্যে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা নির্বাচন বাণিজ্য করবেন, ৩০০ আসনে ৮০০ জনকে মনোনয়ন দেবেন। আবার জয়লাভের কথা বলবেন, জনগণ কি বোকা ?’
তিনি বলেন, ‘মনোনয়ন বাণিজ্য যারা করেছে, যারা আগুন দিয়ে মানুষ এবং পবিত্র কুরআন পুড়িয়েছে, জনতা তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। যাদের আগুন থেকে ইজতেমা ফেরত মুসল্লী, এমনকি স্কুলগামী বালকও রেহাই পায়নি, জনতা তাদের কিভাবে ভোট দেবে ?’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি’র উচিত তাদের পরাজয় বিশ্লেষণ করা এবং নেতৃত্বে পরিবর্তন আনা।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতা পূর্ণতা পায়নি, শূন্যতা অনুভব করেছিলো দেশ। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি দেশে ফিরলেই এর পূর্ণতা আসে। আর জাতির পিতা ঢাকায় নেমে তার পরিবারের কাছে নয়, যান জনতার কাছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যুদ্ধবিধ্বস্থ দেশকে পুনর্গঠন করে উন্নয়নের পথে আনেন। কিন্তু সেই উন্নয়ন সহ্য করতে না পেরে ঘাতকরা জাতির পিতাকে নির্মমভাবে হত্যা করে। তাঁর কন্যা ক্ষমতায় এসে অতি দরিদ্র রাষ্ট্রকে আজ মধ্যম আয়ের দেশে নিয়ে গেছেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আর কুঁড়েঘর নেই, ছেঁড়া জামা নেই, খাদ্যে আমরা আজ উদ্বৃত্ত, – এসবই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন।’
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম, এ টি এম শামসুজ্জামান, আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আক্তার হোসেন, অভিনেত্রী অরুণা বিশ্বাস, নূতন, তারিন, জেনিফার, শাহনূর, শিল্পী দিনাত, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা, সহ-সভাপতি রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ।