বাসস দেশ-৪১ : রাজধানীতে ভুয়া কাস্টমস কর্মকর্তাসহ তিন প্রতারক গ্রেফতার

561

বাসস দেশ-৪১
প্রতারক-গ্রেফতার
রাজধানীতে ভুয়া কাস্টমস কর্মকর্তাসহ তিন প্রতারক গ্রেফতার
ঢাকা, ১০ জানুয়ারি ২০১৯ (বাসস) : রাজধানীতে অভিযান চালিয়ে ভুয়া কাস্টমস কর্মকর্তাসহ তিন প্রতারককে গ্রেফতার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কর্মকর্তারা।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে-খন্দকার ফারুক ওরফে ওমর মবিন (৫২), তার সহযোগী মোহাম্মদ ইলিয়াস ওরফে নুর ইসলাম সরকার (৩৮) ও মো: সাইফুল ইসলাম (৩০)।
এসময় তাদের কাছ থেকে ১৮টি ওমর মবিন নামের কাস্টমস সহকারী কমিশনারের ভিজিটিং কার্ড, ৪টি ব্যাংকের চেকের পাতা, ৭টি মোবাইল ও ১৩টি বিভিন্ন অপারেটর সিম কার্ড উদ্ধার করা হয়েছে।
বুধবার রাতে রাজধানীর রমনা থানাধীন বেইলি রোডের নবাবী ভোজ রেস্টুরেন্টের সামনে থেকে প্রতারক চক্রের এই তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে সিআইডি।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তদন্তকারী সংস্থাটির সিরিয়াস এন্ড হোমিসাইডাল স্কোয়াডের বিশেষ পুলিশ সুপার (এসএসপি) সৈয়দা জান্নাত আরা।
তিনি বলেন, প্রতারক চক্রের সদস্যরা কাস্টমস হাউজের জব্দকৃত স্বর্ণের বার নিলামের মাধ্যমে দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে আমরা জানতে পারি।
সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, প্রতারকদের মধ্যে খন্দকার ফারুক ওরফে ওমর মবিন নিজেকে কাস্টমস কমিশনার বলে পরিচয় দিতো আর তার দুই সহযোগী ইলিয়াস ও সাইফুল কমিশনারের পিএস হিসেবে পরিচয় দিতো। তারা বিভিন্ন মানুষকে টার্গেট করে প্রথমে পিএসদের পাঠাতেন এবং কাস্টমস হাউজের জব্দকৃত সোনার বার নিলামে দেয়ার কথা বলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিতো।
তিনি বলেন, ইতিমধ্যেই বেশকয়েকজন ভুক্তভোগী পাওয়া গেছে। যাদের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকের টাকা নিয়েছে এই চক্রটি।
তিনি আরো বলেন, গ্রেফতারের পর আসামি খন্দকার ফারুক ওরফে ওমর মবিনের মোবাইলে মৃণাল নামে এক ভুক্তভোগীর ফোন আসে। সে সিআইডি কার্যালয়ে এসে প্রতারকদের শনাক্ত করে। ভুক্তভোগী মৃণালের কাছ থেকেও প্রতারক ওমর মবিন কাস্টমস হাউজের স্বর্ণ স্বল্পমূল্যে নিলামের মাধ্যমে কিনে দেয়ার কথা বলে ২৪ লাখ টাকা হাতিযে নেয়।
সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা আসামীর কাছ থেকে ৪০ কোটি টাকার চেক পেয়েছি।
বিশেষ পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা বলেন, মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলার জন্য বিলাসী জীবন যাপন শুরু করে মবিন। চড়তেন প্রাডো গাড়িতে, পড়তেন স্যুট-কোট ও টাই। সাথে থাকতো তার দুই পারসোনাল সেক্রেটারি। তারা অভিজাত হোটেলে বসতো ক্লায়েন্ট ধরার জন্য। সেখানেই ক্লায়েন্টদের সাথে আলোচনা করতো আর দামি খাবার খেতো। বিলাসী জীবনযাপনের লক্ষ্য ছিলো ক্লায়েন্টকে কনভিন্স করা।
নিজেকে কখনো কাস্টমস কমিশনার আবার কখনো বাংলাদেশ ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে কাস্টমস হাউজের জব্দকৃত স্বর্ণেরবার নিলামের মাধম্যে কম টাকায় কিনে দেয়ার কথা বলে বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় এই প্রতারক ও তার দুই পিএস ।
বাসস/এএসজি/এমএমবি/২৩২০/এবিএইচ