লাভজনক অবস্থায় ফিরে এসেছে সোনালী এক্সচেঞ্জ, ইউএসএ

367

ঢাকা, ৮ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সোনালী এক্সচেঞ্জ কোম্পানি ইন্টারন্যাশনাল ইউএসএ পুর্ববর্তী দুই বছর অব্যাহত লোকসানের পরে গতবছর উল্লেখযোগ্য মুনাফা অর্জন করেছে। ২০১৮ সালে এই প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ৮৭ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক বাংলাদেশী মানি ট্রান্সফার প্রতিষ্ঠানটি ২০১৮ সালে ১৯,০০০ ডলার আয় করেছে। সোনালী এক্সচেঞ্জ’র এক্টিং প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম জহুরুল ইসলাম এক্সচেঞ্জ হাউজের প্রতি আস্থা বজায় রাখা ও আন্তরিক সহযোগিতা প্রদানের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশী এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান। এম জহুরুল ইসলাম নিউইয়র্ক থেকে টেলিফোনে আজ বাসসকে একথা বলেন।
তিনি বলেন, কোম্পানি ২০১৭ সালে ২ দশমিক ২৭লাখ ডলার এবং ২০১৬ সালে ৬৬ হাজার ডলার লোকসান দিয়েছে। গত বছর ৮৭ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠানোর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এই রেমিটেন্স লক্ষমাত্রার চেয়ে ২ দশমিক ১৫ মিলিয়ন ডলার বেশি।
জহুরুল বলেন, রেমিটেন্স প্রদানকারীর সংখ্যা ২০১৮ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১,২২,৪৩১ যা পুর্ববর্তী বছরের চেয়ে ১১,০০০ বেশি এবং গত ৮ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ।
তিনি বলেন, রেমিটেন্স ব্যবসায় বিপুল প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা, কঠোর পরিশ্রম ও গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের ফলে এই সাফল্য এসেছে।
নতুন বছরে সকলের সহযোগিতা কামনা করে জহুরুল আশা প্রকাশ করেন, চলতি বছরে প্রতিষ্ঠানটি আরো মুনাফা অর্জন করবে।
এক্সচেঞ্জ হাউজের জ্যাকসন হাইটস ব্রাঞ্চ ম্যানেজার জহুরুল ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে সোনালী এক্সচেঞ্জ’র ভারপ্রাপ্ত সিইও’র দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাবেক সিইও’র মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে তিনি এই দায়িত্ব গ্রহন করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রেমিটেন্স ব্যবসার দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে, পেশাদারিত্বের মাধ্যমে লোকদের উদ্বুদ্ধ করে, গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধি করে, কর্মকর্তাদের আন্তরিকতা ও কঠোর পরিশ্রম এবং সোনালী ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
তিনি জানান, সোনালী এক্সচেঞ্জ ১৯৯৪ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রেমিটেন্স সেবা প্রদান শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে প্রতিষ্ঠানটির ১০টি ব্রাঞ্চ ও বুথ রয়েছে।
জহুরুল বলেন, সোনালী এক্সচেঞ্জ গত ২৪ বছরে বাংলাদেশে ৩ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে।
তিনি বলেন, অন্যান্য সংস্থার চেয়ে বিনিময় হার সামান্য কম হওয়া সত্ত্বেও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই প্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে দীর্ঘদিনের আস্থা ও নির্ভরতা ধরে রেখেছে।
জহুরুল বলেন, আস্থা ও প্রবাসীদের ভালোবাসা কাজে লাগিয়ে এক্সচেঞ্জ হাউস আরো মুনাফা অর্জন করতে পারে। কেবল মুনাফাই নয়, আরো রেমিটেন্স এবং গ্রাহক সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে প্রবাসীদের সুবিধাভোগীদের সোনালী ব্যাংকের কোন শাখায় একাউন্ট না থাকলেও সোনালী এক্সচেঞ্জ নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যে কোন ব্যাংকের যে কোন শাখায় রেমিটেন্স পৌঁছে দেবে।
সোনালী এক্সচেঞ্জ নিউইয়র্ক, মেরিল্যান্ড, জর্জিয়া, মিসিগান ও নিউজার্সি অঙ্গরাজ্য থেকে আন্তর্জাতিক মানি ট্রান্সফার লাইসেন্স পেয়েছে।