বাদ আছর বনানী কবরস্থানে সৈয়দ আশরাফের দাফন

383

ঢাকা, ৬ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের দাফন আজ বাদ আসর বনানী কবরস্থানে অনুষ্ঠিত হবে।
ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় প্রথম নামাজে জানাজা ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ময়দানে তার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন তার মরদেহ হেলিকপ্টারযোগে ময়মনসিংহে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে আঞ্জুমান ঈদগা ময়দানে তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে মরদেহ ঢাকায় নিয়ে আসা হবে। বাদ আছর বনানী কবরস্থানে তার দাফন সম্পন্ন হবে।
শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানীর ২১, বেইলি রোডে সৈয়দ আশরাফের সরকারি বাসভবনে আনা হয়।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে থাইল্যান্ড থেকে সৈয়দ আশরাফের মরদেহ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হয়। সেখান থেকে রাতেই মরদেহ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ বিমান বন্দরে প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে আশরাফের মরদেহ গ্রহণ করেন।
প্রথম নামাজে জানাজায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, সংসদ সদস্যবৃন্দ, সর্বস্তরের নাগরিক, রাজনৈতিক সহকর্মী, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা/কর্মচারীবৃন্দসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শরিক হন।
নামাজে জানাজা শেষে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। পরে মরহুমের কফিনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের পক্ষে দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনা ও দলীয় নেতৃবৃন্দ, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, ১৪ দলের পক্ষে মুখপাত্র স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, জাতীয় পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষে মরহুমের মরদেহে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করেন।
বৃহষ্পতিবার রাতে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সৈয়দ আশরাফ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি এক কন্যা এবং বহু রাজনৈতিক সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজন, গুণগ্রাহী এবং নেতা-কর্মী রেখে গেছেন।