চাঁদপুরের ব্যাংকগুলো ১১৭২ কোটি টাকা র‌্যামিটেন্স অর্জন

362

চাঁদপুর, ৬ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : জেলার সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও কৃষি এ ৪ ব্যাংকের ৯৩ শাখায় ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের জানুয়ারি-ডিসেম্বর বা জুলাই-ডিসেম্বর পর্যন্ত বৈদেশিক র‌্যামিটেন্স অর্জন করেছে ১,১৭২ কোটি ও র‌্যামিটেন্স খাত থেকে লাভ করেছে ৩৩ লাখ টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশ মতে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে ৩০ ডিসেম্বরের আগেই ব্যাংকগুলোর অর্থ-বার্ষিকী হিসেব কষতে হয়েছে বলে জানা গেছে।
সংশি¬øষ্ট ব্যাংকের আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের ২০ টি শাখায় জানুয়ারি-ডিসেম্বর পর্যন্ত লাভ করেছে ১২ কোটি ৫২ লাখ টাকা ও বৈদেশিক র‌্যামিটেন্স অর্জন করে ৩০৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা ।
কৃষি ব্যাংকের ২৮ টি শাখায় জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত লাভ করেছে ২ কোটি ২৪ লাখ টাকা ও বৈদেশিক র‌্যামিটেন্স অর্জন করে ১৮ কোটি ৩৩ লাখ টাকা । অগ্রণী ব্যাংকের ১৭ টি শাখায় জানুয়ারি- ডিসেম্বর পর্যন্ত লাভ ১০ কোটি ৩৬ লাখ টাকা টাকা ও বৈদেশিক র‌্যামিটেন্স অর্জন করে ৫৮২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা ।
জনতা ব্যাংকের ১৭ টি শাখায় জানুয়ারি- ডিসেম্বর পর্যন্ত লাভ করেছে ৮ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ও বৈদেশিক র‌্যামিটেন্স অর্জন করে ২৬৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা ।
চাঁদপুরের জনশক্তি ও কর্মসংস্থান কার্যালয় সূত্র মতে, মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাঁদপুরের ২ লাখ ৫০ হাজার শ্রমজীবী কাজ করছেন। তাঁরা নিজ নিজ কর্মস্থল থেকে র‌্যামিটেন্স তাদের নিকটতম স্বজনদের কাছে ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে প্রেরণ করে।
চাঁদপুরের প্রবাসীরা প্রতি মাসে এ সব র‌্যামিটেন্স বিভিন্ন অর্থলগ্নিকারি প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিকভাবে ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদিত বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে প্রেরণ করে থাকে। কোনো কোনো ব্যাংক কেবলমাত্র গোপন একটি পিন নাম্বারের মাধ্যমেও অর্থ লেনদেন করছে এবং টাকা দিচ্ছে।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক চাঁদপুর অঞ্চলের মুখ্য আঞ্চলিক মহাব্যবস্থাপক মো.আলী আজগর জানান,মূলত: ঋণ আদায়ের মাধ্যমেই ব্যাংক মুনাফা অর্জন করে । এছাড়াও বিভিন্ন প্রকার ডিডি’র কমিশন প্রাপ্তি থেকে আয় পেয়ে থাকে ।’
অগ্রণী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক গীতারাণী মজুমদার বলেন, ‘প্রবাসীরা টাকা প্রেরণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ব্যাংক তার গ্রাহককে কাংখিত অংকের টাকা প্রদান করতে সক্ষম। প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে অর্থের তারল্যের প্রবাহ সৃষ্টি হচ্ছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রাণ সঞ্চারিত হয়ে ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে । বর্তমানে অগ্রণী ব্যাংক বুথের মাধ্যমেই টাকা আদায় করছে ও নতুনভাবে ঋণও বিতরণ করছে।