বাসস দেশ-১৫ : মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ : গোল টেবিল আলোচনায় বক্তারা

314

বাসস দেশ-১৫
সম্প্রীতি- সভা
মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ : গোল টেবিল আলোচনায় বক্তারা
ঢাকা, ৫ জানুয়ারি, ২০১৯ (বাসস) : রাজধানী ঢাকায় আজ অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ।
‘সম্প্রীতি বাংলাদেশ’র আয়োজনে সিরডাপ মিলনায়তনে ‘সম্প্রীতির নির্বাচন, নতুন সরকার ও আগামী দিনের প্রত্যাশা’ শিরোনামের এই গোলটেবিল আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতিকর্মী পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
আলোচনা করেন, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার, সাবেক রাষ্ট্রদূত এ কে এম আতিকুর রহমান, ডাকসুর সাবেক ভিপি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সিনেট সদস্য মাহফুজা খানম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, মুক্তিযোদ্ধা রোকেয়া কবির, মানবাধিকারকর্মী অ্যারোমা দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অসীম কুমার সরকার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রমুখ।
আলোচনায় এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, ‘এবারের নির্বাচনে সব চক্রান্ত ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে এক এসিড টেস্টে উত্তীর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ। যারা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করে, তার বিরোধী রাজনীতি করে, তাদের সেই রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ।’
এবারের নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর সঙ্গে যোগসাজশের অভিযোগ ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বিএনপি যে প্রার্থী তালিকা প্রণয়ন করেছিল, তা আইএসআই মনোনীত ও লন্ডন থেকে অনুমোদিত।’
২৮৮টি আসনে বিশাল জয়ে ‘আত্মতৃপ্তির সুযোগ নেই’ জানিয়ে আওয়ামী লীগকে সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের পঁচাত্তরের কথা ভুলে গেলে চলবে না। দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা, ষড়যন্ত্রকারী যে কোনো সময় আঘাত হানতে পারে। পঁচাত্তরের পর এরা বাংলাদেশে কলুষিত রাজনীতি শুরু করেছিল। আমাদের চ্যালেঞ্জ হল, এদের কবল থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করা।’
এ কে এম আতিকুর রহমান সুশাসন নিশ্চিৎ করার লক্ষ্যে দুর্নীতিকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনার উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘দুর্নীতি হয়ত পুরোপুরিভাবে সমূলে উৎপাটন করা সম্ভব হবে না। তবে এটাকে সহনীয় পর্যায়ে নামিয়ে আনতে হবে। না হলে সুশাসন নিশ্চিৎ করা যাবে না।’
মাহফুজা খানম ঘোষিত ইশতেহার সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে নতুন সরকারকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, ইশতেহারের প্রতিটি বিষয়ের জন্য মনিটরিং টিম, চেক আউট লিস্ট থাকতে হবে। ৫০ দিনের কাজ, ১০০ দিনের কাজ সব ঠিক করে নিতে হবে।”
পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমরা চেয়েছিলাম মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, মানবিক দর্শনের মানুষ এবারের নির্বাচনে জঙ্গিবাদী- সাম্প্রদায়িক শক্তিকে যেন রুখে দেয়। আমরা এবারের নির্বাচনে তা পেয়েছি।’
বাসস/সবি/কেসি/১৭৪০/অমি