ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ হতে যাচ্ছেন পাইবাস

460

বার্বাডোজ, ১ জানুয়ারি, ২০১৮ (বাসস) : ওয়েস্ট ইন্ডিজের পরবর্তী প্রধান কোচের দায়িত্ব নিতে রাজী হয়েছেন পাকিস্তান ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক কোচ রিচার্ড পাইবাস। বর্তমানে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের হাই পারফরমেন্স ডাইরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অন্তর্বর্তীকালীন কোচ নিক পোথাসের স্থলাভিষিক্ত হবেন পাইবাস। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর সূত্রমতে পাইবাসের সাথে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চুক্তি ২০১৯ সালে ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজসহ ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিতব্য ওয়ানডে বিশ^কাপ পর্যন্ত চলবে।
মাত্র এক বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর স্টুয়ার্ট ল পদত্যাগ করার পর থেকে প্রধান কোচের পদটি খালি রয়েছে। কাউন্টি দল মিডলসেক্সের সাথে চার বছরের চুক্তি করায় ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল ছেড়ে চলে যান। এরপর দলের ফিল্ডিং কোচ পোথাসকে অস্থায়ী কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। ল’র বিদায়ের পর সম্প্রতী বাংলাদেশ সফরে পোথাসই কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ সফরে পোথাসের অধীনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে যথাক্রমে ২-০ ও ২-১ ব্যবধানে হারলেও টি২০’তে ২-১’এ সিরিজ জিতেছে।
ফেব্রুয়ারিতে ক্যারিবীয় হাই পারফরমেন্স ডারইরেক্টর হিসেবে পাইবাস দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তার দায়িত্ব ছিল পুরো ক্যারিবীয় জুড়ে সব পর্যায়ে নির্বাচক ও কোচদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করা। এর আগে ২০১৩-২০১৬ সাল পর্যন্ত তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন। ওই সময় চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও তিনি তা নবায়ন করতে অস্বীকৃতি জানান। পুনরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে পাইবাসের ফিরে আসাটা অনেকেই মেনে নেননি। সাবেক ক্যারিবীয় ওপেনার ডেসমন্ড হেইন্স তার নিয়োগের বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ক্রিকেট পরিচালক হিসেবে পাইবাস থাকাকালীন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক থাকা ড্যারেন সামিও তার ফিরে আসার বিষয়টি বিশ^াস করতে পারেননি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের পরিচালক হিসেবে পাইবাসের ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার গড়তে হলে একজন ক্রিকেটারকে অবশ্যই ঘরোয়া টুর্নামেন্টে পারফর্ম করতে হবে, পাইবাসের এই নীতি অনেকেই মেনে নেয়নি। এর ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনেক ক্রিকেটার যার বিশ^ জুড়ে টি২০ ক্রিকেটে নিজেদের ক্যারিয়ার সমৃদ্ধ করতে চেয়েছিল তারা বেশ বিপাকে পড়েছিল।
পাইবাসের অধীনে পাকিস্তান ১৯৯৯ সালে বিশ^কাপের ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। এরপর তিনি স্বল্প সময়ের জন্য বাংলাদেশের জাতীয় দলের দায়িত্বে ছিলেন। বিশ^জুড়ে বিভিন্ন ঘরোয়া দল ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় ফ্র্যাঞাইজি ভিত্তিক দলের সাথে কাজ করেছেন। গত বছর ভারতীয় কোচ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের সংক্ষিপ্ত তালিকায় তার নাম ছিল।