নির্বাচন সংঘাতমুক্ত ও উৎসবমুখর করতে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বলয় তৈরি : ডিএমপি কমিশনার

655

ঢাকা, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংঘাতমুক্ত ও উৎসবমুখর করতে ডিএমপি’র পক্ষ থেকে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে।
তিনি আজ বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনকালে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এই নির্বাচনে যাতে কোন ধরনের সংঘাত না হয় এবং ভোটারদের যাতে কেউ ভয়ভীতি দেখাতে না পারে সেজন্য সব রকমের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। মাঠের তথ্য সংগ্রহের জন্য আমাদের গোয়েন্দারা তৎপর রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বিভিন্ন অনলাইনে গুজব প্রতিরোধে আমাদের সাইবার টিম কাজ করছে।
তিনি বলেন, ঢাকা মহানগরীতে মোট ২ হাজার ১শ’১৩টি ভোট কেন্দ্র রয়েছে। প্রত্যেকটি কেন্দ্রে নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবে। এর বাইরেও ৪/৫টি কেন্দ্রের জন্য ১টি করে মোবাইল টিম থাকবে। এছাড়াও থানা ও ডিভিশনাল পর্যায়ে স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। নগরীতে পুলিশের ৪টি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। এখান থেকে আমরা পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা সমন্বিত করবো।
তিনি আরো বলেন,রাজধানীর ১৪টি কেন্দ্র থেকে ব্যালট পেপার জমা এবং গ্রহণ করা হবে। সেখানে আমাদের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তার বিষয়ে আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী ও তাদের এজেন্টদের নিরাপত্তা দিতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। ভোটাররা যাতে নিরাপদে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে সেজন্য নগরজুড়ে আমাদের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে।
ভোটারদের আশ্বস্ত করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, কোন ভোটারকে কেউ কোন প্রকার ভয়ভীতি দেখালে সে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সংশ্লিষ্ট ডিসি, নির্বাচন কমিশন অফিস ও প্রিজাইডিং অফিসারকে জানাতে পারবেন। এছাড়াও ৯৯৯ এ ফোন করে অভিযোগ জানাতে পারবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে কমিশনার বলেন, আগামীকাল ২৯ ডিসেম্বর রাত ১২টা থেকে ৩০ ডিসেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের যানবাহনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে যারা ট্রেন, লঞ্চ ও বিমানে ভ্রমন করবে তাদের বৈধ টিকেট ও পাসপোর্ট থাকলে তাদের গন্তব্যে পৌছানোর ব্যবস্থা করা হবে । এ বিষয়ে ডিএমপি’র ট্রাফিক বিভাগকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রার্থী ছাড়া অন্য কেউ লাইসেন্সকৃত অস্ত্র বহন করতে পারবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।