কুড়িগ্রাম, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে মৎস, জলাশয় ও কৃষি জমিতে সেচ সহায়তা বৃদ্ধিতে সরকারের শতবর্ষের ডেল্টা প্লান অনুযায়ী নদী খনন কর্মসূচির কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। এ কর্মসূচির আওতায় কুড়িগ্রামে নদী ও খাল-জলাশয় মিলিয়ে ২শ’ কিলোমিটার এলাকা খনন করা হবে। বৃহস্পতিবার সকালে কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার বিলুপ্ত ছিটমহল দাসিয়ারছড়ায় অবস্থিত নীলকমল নদীতে খনন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন। এসময় বক্তব্য রাখেন রংপুর পাউবো’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ, নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আজিজুল হক পোদ্দার, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহকারি সচিব অজিত কুমার রায়, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আব্দুল আজিজ, সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আমির হোসেন, ফুলবাড়ী ইউএনও মাছুমা আরেফিন প্রমুখ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্রে জানা গেছে. প্রথম পর্যায়ে ফুলবাড়ী উপজেলার নীলকমল নদীতে ১৫ দশমিক ৫ কিলোমিটার, নাগেশ^রীর নেওয়াশি সুকাতি নদীতে ৫ কিলোমিটার, ভুরুঙ্গামারীর ফুলকুমর নদীতে ৩৬ কিলোমিটার, উলিপুর ও চিলমারীতে অবস্থিত বুড়ি তিস্তা নদীতে ৩১ কিলোমিটার ও রৌমারী-রাজিবপুর উপজেলায় অবস্থিত সোনাভরি নদীতে ৯ দশমিক ৫ কিলোমিটারসহ মোট ৬টি ছোট-বড় নদীর ৯৭ কিলোমিটার এলাকা পুনঃখনন করা হবে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম জানান, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ৬৪টি জেলায় ছোট নদী, খাল ও জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্প (১ম পর্যায়) এর উদ্যোগে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করছে। এতে নীলকমল নদী খননে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা বাজেট বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়াও ৯৭ কিলোমিটার নদী খননে মোট ৪৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন জানান, নদ-নদীময় কুড়িগ্রামের যে ঐতিহ্য তা ফিরিয়ে আনতে ছোটনদী, জলাশয় ও খাল খননের কার্যক্রম উদ্বোধন করা হল। এতে মৎস, জলাশয় ও কৃষি জমিতে সেচ সুবিধা নিতে পারবে এলাকার মানুষ।