মুক্তিযুদ্ধে শিল্পী সমাজের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে : রামেন্দু মজুমদার

387

ঢাকা, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বিশিস্ট সংস্কৃতি ব্যাক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার বলেছেন , বাঙালি জাতির রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অর্জণ হচ্ছে একাত্তরে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যধিয়ে বিজয় লাভ। এই বিজয় যারা এনেছেন তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান।
রামেন্দু মজুমদার শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত ‘ বিজয়ের মহোৎসব ২০১৮ ’এর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়ে আমাদের সংস্কৃতিসেবীরাও ছিলেন যোদ্ধা। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রসহ যুদ্ধের ময়দানে শিল্পীসমাজ জীবন বাজি রেখে কাজ করেন। জাতি তাদের অবদান কোনদিন ভুলবে না। তারা চিরস্মণীয় হয়ে থাকবে।
গতাকল সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত নন্দন মঞ্চে ‘অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় শিল্প নিয়ে পৌছে যাবো আমরা উন্নতির শিখরে’ শীর্ষক এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক ড. কাজী আসাদুজ্জামান। শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর পরিককল্পনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন শিল্পী আব্দুল মান্নান এবং সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস।
শুরুতে প্রামাণ্যচিত্র ‘ মুক্তিযুদ্ধ ও জাতীয় চার নেতা’ এবং স্বল্পদৈঘ্য চলচ্চিত্র ‘পুতুল পুরাণ’ প্রদর্শিত হয়। পর্ ে‘টাকডুম টাকডুম বাজাই বাংলাদেশের ঢোল’ এবং ‘আইজ কেন মোর প্রাণ সজনী গো..’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্য সংগঠন ধৃতি। ‘ও আমার বাংলা মা তোর…’ এবং ‘জলে গিয়েছিলাম সই..’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন বেণুকা ললিতকলা একাডেমির শিল্পীরা। ‘আজি বাংলাদেশের হৃদয় হতে…’ এবং ‘আজি বাহাল করিয়া..’ গানের সাথে নৃত্য পরিবেশন করেন নৃত্য সংগঠন নান্দনিকের শিল্পীবৃন্দ ।
পরে একক সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী সাইফুল ইসলাম, কিরণ চন্দ্র রায়, আবিদা সুলতানা সেতু, শরীফ সাধ এবং অপু। ঋত্বিক ঘটক-এর রচনায় এবং অভিজিকৎ সেন গুপ্ত পরিচালিত নাটকের অংশ বিশেষ পরিবেশন করেন দৃষ্টিপাত নাট্যদল। লিয়াকত আলী লাকী’র গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ‘মুজিব মানে মুক্তি’ নাটক পরিবেশন করে লোক নাট্যদল (সিদ্বেশ^রী)। এ ছাড়া পরিবেশিত হয় ঐতিহ্যবাহী লোকনাট্য গম্ভীরা গান। অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেছেন তামান্না তিথি।