বাসস প্রধানমন্ত্রী-১ : দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছে : প্রধানমন্ত্রী

162

বাসস প্রধানমন্ত্রী-১
শেখ হাসিনা-বিজিবির ভূমিকা
দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সরকারের অর্পিত দায়িত্ব পালনে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছে।
তিনি বলেন, ‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ খ্যাত বিজিবি সদস্যরা দেশের সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান, নারী ও শিশু এবং মাদকদ্রব্য পাচার প্রতিরোধ, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানসহ সরকার অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বপালনে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছে।’
আগামীকাল (২০ ডিসেম্বর) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে আজ বুধবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিজিবিকে একটি ত্রিমাত্রিক আধুনিকবাহিনীতে রূপান্তরের অংশ হিসেবে এয়ার উইং সৃজন করা হয়েছে। এ বাহিনীকে বিশ্বমানের সীমান্তরক্ষীবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।’
বিজিবিকে আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০’ পাশ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিজিবি’র নতুন সাংগঠনিক কাঠামো ও জনবলের প্রাধিকার বৃদ্ধিসহ পদবি কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। বাহিনীর কর্মকা-ে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য ৫টি রিজিয়ন সৃজনের মাধ্যমে কমান্ড স্তর বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে।
বিজিবি’র সার্বিক কল্যাণে বিজিবি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন এবং ‘সীমান্ত ব্যাংক’ স্থাপন করা হয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সাল থেকে এ যাবত ৩৮৪ জন নারী সৈনিকসহ ২৬ হাজারের অধিক জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। নতুন ৪টি সেক্টর ও ১৭টি ব্যাটেলিয়ন সৃজন করা হয়েছে। সর্বনি¤œ পদ থেকে সুবেদার মেজর পর্যন্ত সদস্যদের সীমান্ত ভাতা প্রদান, অগ্রিম বেতনসহ দু’মাসের ছুটি ভোগের সুবিধা, রেশন, চিকিৎসা ও আবাসন সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ২২৩ বছরের একটি ঐতিহ্যবাহী আধাসামরিকবাহিনী। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ইপিআর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আপামর জনসাধারণের সঙ্গে এ বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য এ বাহিনীর দু’জন বীরশ্রেষ্ঠসহ ১১৯ জন সদস্য খেতাবপ্রাপ্ত হয়েছেন। এছাড় ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছেন। বিজিবি’র ‘স্বাধীনতা পদক’ অর্জন মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানেরই অনন্য স্বীকৃতি।
‘বিজিবির প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সততা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ রাখবেন’ বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বাণীতে প্রধানমন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধসহ দেশমাতৃকার জন্য দায়িত্বপালনকালে এ বাহিনীর যে সকল সদস্য শাহাদত বরণ করেছেন তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং দিবস উপলক্ষে এ বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। এছাড়াও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর সার্বিক সাফল্য এবং উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।
বাসস/তবি/বিকেডি/১৮০০/-আসচৌ