জয়পুরহাটে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি

1045

জয়পুরহাট, ৯ জানুয়ারি, ২০১৮ (বাসস) : জেলার সদর উপজেলায় খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় মঙ্গলবার বেড প্লান্টার প্রদর্শনী, ধান , গম প্রদর্শনী পরিদর্শন ও চাষীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষি অফিস সূত্র বাসস’কে জানায়, সদর উপজেলার পেঁচুলিয়া, ভূটিয়াপাড়া, পল্লিবালা এলাকায় এসব কর্মসূচি পালন করা হয়। খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটের কৃষি সম্প্রসারণে খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্প বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কম খরচে, স্বল্প শ্রম ও সময়ে ফসল উৎপাদন করতে পারছে কৃষকরা এ তথ্য জানান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, কৃষি বিভাগ জেলায় নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তির সম্প্রসারণে ও কৃষি সেবা সহজীকরণে ই-কৃষির ব্যবহার দ্বারা কৃষি ক্ষেত্রে সর্বাত্মক আমূল পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় ‘নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রযুক্তির সম্প্রসারণে ও কৃষি সেবা সহজীকরণে ই-কৃষির ব্যবহার শীর্ষক ডিজিটাল অ্যাপস বিতরণ, তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার দ্বারা চাহিদাভিত্তিক ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ প্রদান’ ইনোভেশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
জয়পুরহাট সদর উপজেলায় প্রায় ৫৯০০০ কৃষক-কৃষানীকে ডিএই-এর টিমসহ দ্রুততম সময়ে সকল কৃষকদের নিকট কাঙ্খিত সেবা পৌছে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ জন্য প্রতিটি গ্রামের এনড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী কৃষক, সার, বীজ, বালাইনাশক ডিলার, ব্যবসায়ী, জনপ্রতিনিধি, কর্মকর্তা, ব্যাংকার, গৃহিনী, ছাত্র-ছাত্রীদেরদের মাঝে শেয়ার-হট অপশন ব্যবহার করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভাবিত ‘কৃষকের জানালা’, ‘কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা এবং ই-বালাইনাশক’ নামক তিন ডিজিটাল এ্যাপস-এর মাধ্যমে প্রায় ১২০ প্রকার ফসল উৎপাদনে ১০০০ রোগ, পোকা-মাকড়ের ছবি দেখে, সমস্যা সনাক্তকরণ, সমস্যার সমাধান পেতে এ্যাপস বিতরণ এবং কৃষকদের চাহিদাভিত্তিক ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ প্রদান কার্যক্রম চলছে। এতে কৃষকদের সেবা গ্রহণের জন্য উপজেলায় আসতে হয় না, ঘরে বসেই একজন কৃষক বা সেবা গ্রহীতা ইন্টারনেট ছাড়াই শুধূমাত্র ডিজিটাল ্এ্যাপসসমূহ ইনস্টল করে যে কোন মূহূর্তে যে কোন ফসলের সমস্যা সমাধানে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছেন।
জয়পুরহাট সদর উপজেলায় কৃষকরা প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে এবং তারা ব্যক্তিগত এনড্রয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করে এসব কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানান, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম।