বাসস প্রধানমন্ত্রী-২ : সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত থাকবে : প্রধানমন্ত্রী

153

বাসস প্রধানমন্ত্রী-২
শেখ হাসিনা-আওয়ামী লীগ-ইশতেহার
সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত থাকবে : প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে জঙ্গিবাদ, মাদক সন্ত্রাসও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত থাকবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।
এছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরো দক্ষ, কর্মক্ষম ও আধুনিকায়ন করা হবে বলে দলটির ইশতেহারে বলা হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আজ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে দলীয় নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণায় এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
দুর্নীতির বিরুদ্ধে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ প্রদর্শনের মাধ্যমে দেশ থেকে যেভাবে জঙ্গিবাদ নির্মূল করা হয়েছে, একইভাবে আগামীতে ক্ষমতায় এলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ প্রদর্শন করে দেশকে দুর্নীতি মুক্ত করা হবে।
আর এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আরো দক্ষ, কর্মক্ষম ও আধুনিকায়ন করা হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মন্ত্রণালয়গুলোতে দুর্নীতি বন্ধে মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কমিটিকে জবাবদিহিতা গ্রহণের জন্য আরো ক্ষমতা দেয়া হবে।
আধুনিক তথ্য ও প্রযুক্তি চালুর মাধ্যমে দুর্নীতির পরিধি ক্রমান্বয়ে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা হবে বলেও ইশতেহারে বলা হয়।
দুর্নীতিমুক্ত সরকার গঠনে আওয়ামী লীগ কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে ইশতেহারে বলা হয় দেশের প্রতিটি স্থানে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ‘অভিযোগ বক্স স্থাপন করা হয়েছে যাতে মানুষ সহজে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে পারে। উল্লেখ্য, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের রিপোর্ট অনুসারে বাংলাদেশ দুর্নীতি প্রতিরোধে সম্প্রতি দুই ধাপ এগিয়েছে।
ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানের শুরু হয় জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে।
পরে আওয়ামী লীগের শাসনমালের উন্নয়নের বিবরণ তুলে ধরা হয় প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির আহ্বায়ক ড. আব্দুর রাজ্জাকের স্বাগত বক্তব্যের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এরপর ইশতেহার ঘোষণা করেন দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, ঢাকায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও কূটনীতিক, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবী, তরুণ সমাজের প্রতিনিধি, দেশি-বিদেশি সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বাসস/কেসি/১৬৪৪/-আসচৌ