পোশাক কারখানার সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়নে আরসিসির অধীনে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প শুরু জুলাইতে

743

ঢাকা, ২৭ মে, ২০১৮ (বাসস) : দেশের ১ হাজার ৫৪৯টি তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংস্কার কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নে ১০ কোটি টাকার প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার। আগামী ১ জুলাই থেকে এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান ভুঁইয়া আজ বাসস’কে এসব তথ্য জানিয়ে বলেন, রানা প্লাজা বিপর্যয়ের পর আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতায় দেশের ৩ হাজার ৭৮০টি তৈরি পোশাক কারখানার সংস্কার কাজ শুরু করে। এরমধ্যে ইউরোপীয়ান ক্রেতা জোট একর্ড ১ হাজার ৫০৫টি , উত্তর আমেরিকান ক্রেতা জোট এ্যালায়েন্স ৮৯০টি এবং বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় উদ্যোগে ১ হাজার ৫৪৯টি কারখানা সংস্কার করার কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে জাতীয় উদ্যোগে ১ হাজার ৫৪৯টি তৈরি পোশাক কারখানার নিশ্চিত করতে রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) গঠন করা হয়।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, রাজউকসহ সরকারের অগ্নি ও বৈদ্যুতিক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ৬টি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে এই সেল গঠন করার পর এ পর্যন্ত অতি ঝুঁকিপূর্ণ ১৫০টি কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে মাহফুজুর রহমান ভুঁইয়া জানান।
তিনি বলেন, জাতীয় উদ্যোগে ১ হাজার ৫৪৯টি কারখানার মধ্যে ৮০৯টি ঝুঁকিপূর্ণ কারখানা সংস্কারের জন্য মালিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী এই কার্যক্রমের ২৭ ভাগ অগ্রগতি হয়েছে। এই কার্যক্রমকে ফলোআপ করার জন্য আরসিসি কমিটির উদ্যোগে যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে তার অধীনে ৬০ জন প্রকৌশলী নিয়োগ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে যাতে আগামী ১ জুলাই এই কার্যক্রম শুরু করা সম্ভব হয়।
তিনি বলেন, চুক্তি অনুযায়ী যেসব মালিক কর্তৃপক্ষ এই সংস্কার কাজ সম্পূর্ণ করবে না তাদের কারখানা বন্ধ করাসহ লাইসেন্স বাতিল করে দেয়া হবে। সংস্কারের আওতাধীনে ৮০৯টি কারখানার মধ্যে ঢাকায় ২৯৬টি, নারায়ণগঞ্জে ১৭২টি, গাজীপুরে ১৯০টি, চট্রগ্রামে ১২৬টি এবং অন্যান্য জেলায় ২৫টি কারখানা ফলোআপ করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও এই সংস্কার কাজে সহযোগিতা করছে। গত ৫ বছরে অ্যালায়েন্সের শর্ত পুরণ না করতে পারায় ১৭০টি কারখানা বন্ধ হয়ে যায়। আর ৬৬৬ টি কারখানার সংস্কার কাজ শেষ হয়েছে ৮৮ শতাংশ। এরমধ্যে ৩২২ টি কারখানা শতভাগ সংশোধন করা হয়েছে ।
তিনি বলেন, জাতীয় উদ্যোগে আওতাধীন ৫৩১ টি কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। ৬৮টি কারখানা অন্যত্র স্থানান্তর হয়েছে। ১২টি ইপিজেডের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং ১২৯ টি একর্ড ও এ্যালায়েন্স যুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেইফটি ইউনিট গঠন করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করেছে বলে মাহফুজুর রহমান ভুঁইয়া জানিয়েছেন।