জয়পুরহাটে বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর ৫০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ শুরু

365

জয়পুরহাট, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮ (বাসস) : বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন’ (কম্পিউটার ও সেলাই প্রশিক্ষণ) শীর্ষক ৫০ দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কোর্স আজ শনিবার শুরু হয়েছে।
সরকারি শিশু পরিবারের প্রশিক্ষণ মিলনায়তনে ৫০ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মনিরুজ্জামান। জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সেলিম শাহ্ অনুষ্ঠিানে সভাপতিত্ব করেন। জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মো. ময়নুল হকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা আবুল হাশেম, প্রবেশন কর্মকর্তা শারমিন আকতার, শিশু পরিবারের উপ তত্বাবধায়ক মো. সোহেল রানা প্রমুখ। প্রশিক্ষণে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত বেদে, দলিত ও হরিজন সম্প্রদায়ের ২৫ জন নারী ও ২৫ জন পুরুষ অংশগ্রহণ করছেন। বাংলাদেশের সংবিধানের ২৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকল নাগরিকের সমান অধিকার ভোগের নিশ্চয়তার বিধান রয়েছে। সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে দলিত, বেদে এবং হরিজন জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ প্রদান শুরু করে। ২০১৬-২০১৭ অর্থ বছরে সমাজল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২০ দশমিক ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও জাতীয় সামাজিক কৌশল পত্রেও দলিত জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হয়েছে এবং দলিত ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সাতটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোটা প্রবর্তন করা হয়েছে। ‘দলিত জনগোষ্ঠীর অধিক অংশগ্রহণ এবং ক্ষমতায়নের মাধ্যমে তাদের দৃশ্যমান মানবাধিকার এবং সেবাপ্রাপ্তির অধিকারসমূহ নিশ্চিতকরণ, যার সার্বিক উদ্দেশ্য হলো দলিত জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত, স্বীকৃতি প্রদান, উন্নয়ন এবং সুরক্ষা প্রদানের মাধ্যমে তাদের অধিকারসমূহ প্রতিষ্ঠা এবং শক্তিশালীকরণ’ বিষয়ে বর্তমান সরকার নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করছে বলে সভায় আলোকপাত করেন বক্তারা। প্রশিক্ষণ শেষে ২৫ নারীকে বিনামূল্যে সেলাই মেশিন ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণার্থী ২৫ জনকে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ঋণ সহায়তা প্রদান করা হবে বলে জানান, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. সেলিম শাহ্।